আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

এক সাথে তিন তালাক দেওয়া প্রসঙ্গে।

( ফতোয়া ও মাস‘আলা-মাসায়েল : পোস্ট কোড: 18700 )

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: এক সাথে তিন তালাক দেওয়া প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নেয় আবার একই ইদ্দতের মধ্যে যদি স্ত্রী নিজের উপর নিজে তালাক গ্রহণ করে তাহলে কয় তালাক হবে?এবং বিবাহ ছাড়া তারা আবার সংসার করতে পারবে কিনা?
বিঃ দ্রঃ মৌখিক বিবরণ থেকে জানা গেছে, স্বামী তার স্ত্রীকে এক সাথে তিন তালাক দেয়। অতপর এক ফাতওয়া বিভাগে ফাতওয়া নেয়, তারা বলে এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক হয়। এজন্য স্বামী তার স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়।
নিবেদক
হিরা খানম
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ সত্য হলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী চার মাযহাবের ঐক্যমতে তিন তালাক কার্যকর হয়ে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা একে অপরের জন্য হারাম হয়ে গেছে। তাদেরকে এখনই পৃথক হয়ে যেতে হবে। স্বামী তার ঐ স্ত্রীকে নিয়ে আর স্বাভাবিকভাবে ঘর-সংসার করা বৈধ হবে না। আর যারা ফাতওয়া দিয়েছে এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক হয় তাদের বক্তব্যটি সঠিক নয়। এজন্য স্বামী তার স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া সঠিক হয়নি এবং স্ত্রীর তালাক গ্রহণও সহীহ হয়নি। কেননা তিন তালাক দেওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন যদি তার স্ত্রী পৃথক হওয়ার পর ইদ্দত তথা ঋতুমতী হলে তিনটি ঋতু, আর গর্ভবতী হলে সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর স্বেচ্ছায় অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং দ্বিতীয় স্বামী সহবাস করার পর যদি কোন কারণে তালাক দেয় বা মারা যায় তাহলে ইদ্দত শেষ হওয়ার পর তারা পরস্পরে রাযি থাকলে নতুন ভাবে দু‘জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘর-সংসার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শরীয়তের দৃষ্টিতে সাধারণ অবস্থায় তালাক খুবই অপছন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতি প্রয়োজন ছাড়া তা প্রয়োগ করা কিছুতেই বাঞ্ছনীয় নয়। যদি কখনো তালাক দিতেই হয় তাহলে পরামর্শ অনুযায়ী এক তালাকের বেশি দেওয়া উচিত নয়। তাও শান্ত পরিবেশে রাগের পরিবেশে নয়।

الإحالة الشرعية على المطلوب-
قال الله تعالى في”سورة البقرة ” (230) فان طلقها فلا تحل له من بعد حتى تنكح زوجا غيره
وأخرج الإمام البخاري رح في” صحيحه”(2/791) عن عائشة رضي الله تعالى عنها أن رجلا طلق امرأته ثلاثا فتزوجت فطلق فسئل النبي صلى الله عليه وسلم اتحل للاول  قال لا حتى تذوق كما ذاق الأول
وأخرج الإمام “البخاري رح في”صحيحه” (2/792) قال  الليث عن نافع كان ابن عمرإذا سئل عن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة او مرتين فإن النبي صلى الله عليه وسلم أمرني بهذا فإن طلقها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيره
وفي”عمدة القارى”(20/233) ومذهب جماهير العلماء من التابعين و من بعدهم منهم الأوزاعي والنخعي و الثوري وأبوحنيفة وأصحابه ومالك وأصحابه والشافعي وأصحابه وأحمد وأصحابه واسحاق وأبو ثور وأبو عبيد وآخرون كثيرون على أن من طلاق إمرأته ثلاثا وقعن ولكنه يأثم. وقالوا من خالف فيه فهو شاذ مخالف لأهل السنة ‘ وإنما تعلق به أهل البدع ومن لا يلتفت إليه لشذوذه عن الجماعة التي لا يجوز عليهم التواطؤ على تحريف الكتاب و السنة
وفي”التاتارخانية” (5/147) وإن كان الطلاق ثلاثا في الحرة أو ثنتين في الأمة لا تحل له لا تنكح زوجا غيره نكاحا صحيحا ويدخل بها ثم يطلقها أو يموت عنها
وفي”الهندية”(1/535) وإن كان الطلاق ثلاثا في الحرة أو ثنتين في الأمة لا تحل له لا تنكح زوجا غيره نكاحا صحيحا ويدخل بها ثم يطلقها أو يموت عنها
وفي”الهندية”(1/355) إذا قال للإمرأته أنت طالق وطالق طلاق ولم يعقله بالشرط وإن كانت مدخولة طلقت ثلاثا
وفي”امداد السائلين”(4/40) تین طلاقیں خواہ   ایک جملے میں دے یا الگ الگ جملوں  میں ، تینوں واقع ہو جاتی ہیں ، چاروں اماموں کا یہی مذہب ہے، جس نے اس کے خلاف فتاوی دیا ہے سخت حرام مرتکب ہوا ہے ، اور جو لوگ اس نکاح میں یہ جانتے ہوئے شریک ہوئے وہ بھی گناہگار ہوئے ، سب توبہ استغفار کریں..انتهى، والله أعلم بالصواب

 

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Fatwa ID: 18700
Scroll to Top