পাক নাপাক প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: পাক নাপাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: ক্ষত এর মুখে রক্ত মানে গড়িয়ে পড়ে না এইরকম অবস্থায় আছে, ওই রক্ত ভিজা কাপড়ে লাগলে কী ভিজা কাপড়টা নাপাক হয়ে যাবে? মানে ওই ক্ষত টা পায়ে, গোসলের সময় তো রক্ত ধুয়ে চলে গেছে। তারপর গামছা দিয়ে শরীর মুছে ওই গামছা পরে গোসলখানা থেকে বের হয়ে জামাকাপড় রোদে দিয়ে প্যান্ট পরতে ছিলাম। তখন দেখি ক্ষত এর মুখে রক্ত মানে গড়িয়ে পড়ার মতো না। প্যান্ট পরার সময় শরীর মোছা গামছা ওই ক্ষত এর মুখে রক্তের জায়গায় লাগে। এখন কী শরীর মোছা গামছাটা নাপাক হয়ে যাবে? আর যদি নাপাক না হয় তাহলে কী ওই গামছাটা নরমাল ভাবে পাক কাপড়ের মতো একবার ধুলেই হবে।
নিবেদক
মুহা: জাহিদ হাসান।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু আপনার ক্ষতস্থানের রক্ত গড়িয়ে পড়েনি, তাই আপনার উক্ত গামছাটি ক্ষতস্থানে লাগার দ্বারা নাপাক হয়নি। কেননা ক্ষতস্থানের রক্ত যদি গড়িয়ে না পড়ে তাহলে তা নাপাক হয় না। সুতরাং আপনার গামছাটি যেহেতু নাপাকই হয়নি তাই তা ধৌত করাও জরুরি নয়। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য চাইলে আপনি ধৌত করতে পারেন।

الاحالة الشرعية على المطلوب
في “الدر المختار”(1/294) وكل ما ليس بحدث كقئ قليل ودم لوترك لم يسل ليس بنجس
وفي “الهداية”(1/24) ثم ما لايكون حدثا لا يكون نجسا يروى ذلك عن أبى يوسف وهو الصحيح
وفي”التاتارخانية”(1/444) الذخيرة : الخارج من غير السبيلين اذالم يكن سائلا لم يكن حدثا موجبا انتقاض الطهارة هل يكون نجسا؟ فعن محمد أنه نجس وبه كان يفتى الفقيه أبو بكر الإسكاف والفقيه أبو جعفر وعن أبى يوسف أنه طاهر وفي الهداية: هو الصحيح حتى أن الخارج لوقع في الماء فعلى قول من يقول هو نجس يتنجس الماء وعلى قول من يقول هو طاهر لا يتنجس
وفي  الهندية”(1/62) وإن قشرت نقطت وسال منها ماء أو صديد أو غيره إن سال عن رأس الجرح نقض وإن لم يسل لا ينقض
وفي “التاتارخانية”(1/433) وصاحب الجرح السائل نجس
وفی فتاوی حبیبیہ(1/160) وفی الجواب: اگر رطوبت زخم سے باہر نہیں نکلی اور نہ بہی ہے تو اس سے وضو نہیں ٹوٹتا اس  کے لگ جانے سے کپڑے بھی  ناپاک  نہیں ہوتے— انتهى ، والله أعلم بالصواب