আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

জোরপূর্বক বিবাহ প্রসঙ্গে।

( ফতোয়া ও মাস‘আলা-মাসায়েল : পোস্ট কোড: 18587 )

বরাবর,
ফাতওয়া ও ইসলামী আইন  গবেষণা বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: জোরপূর্বক বিবাহ প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমি দুমাস হল বিয়ে করেছি আমার কোম্পানির মালিকের এক আত্মীয়কে। আমি বিয়ের আগে মেয়ের সাথে কোন কথা বলতে পারিনি বিস্তারিত। তার থেকে অনুমতিও নিতে পারিনি।
সমস্যা হচ্ছে বিয়ের পর আমি জানতে পারি তার পরিবার তাকে জোর করে আমার কাছে বিয়ে দিয়েছে। সে রাজি ছিলনা। আমার স্ত্রী আমার কাছেই আছে। কিন্তু ও আমাকে বলে, আমি যেহেতু তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেছি, তাই তাকে তার কোন বিষয়ে কথা বলার অধিকার রাখিনা এবং এজন্য সে আমাকে কখনো মাফ করবে না।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিয়ের জন্য ছেলেকে কি মেয়ের অনুমতি নিতেই হবে ? যেহেতু আমার অনুমতি নেয়া হয়নি, আমাকে কি পরকালের এজন্য বিচারের সম্মুখীন হতে ? দয়া আমাকে কিছু সাজেশন দিন। আমি খুব চিন্তায় আছি। এটা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
নিবেদক
মুহা. সাইদুল হক
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: বিবাহের জন্য ছেলেকে মেয়ের কাছে থেকে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামুলক নয়। তবে অনুমতি নেওয়া উত্তম। ‍বিবাহের ক্ষেত্রে মূল বিষয় হল, ইজাব বা প্রস্তাব আর কবুল বা গ্রহণ। দুইজন সাক্ষীর সামনে একজন ইজাব বা প্রস্তাব পেশ করবে আর অন্যজন কবুল বা গ্রহন করবে। এ কাজটি যদি জোরপূর্বকও হয় তাহলেও বিবাহ সংঘটিত হয়ে যায়। অতএব আপনাদের মাঝে যদি ইজাব-কবুল হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। মেয়ের কাছ থেকে সরাসরি আপনার অনুমতি না নেওয়ার কারণে আখেরাতে আপনাকে কোন জবাবদিহীতার সম্মুখীন হতে হবে না। এখন আপনার কর্তব্য হল , স্ত্রীর পূর্ণ হক আদায় করা।
তবে এক্ষেত্রে যে ভুল ও ত্রুটি হয়েছে তা অভিভাবকের পক্ষ থেকে হয়েছে। কেননা, কোন সাবলক মেয়েকে তার অভিভাবকের জন্য জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। সুতরাং আপনার স্ত্রীকে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়ার কারণে অভিভাবক ও পরিবার গুনাহগার হবে।

الإحالة الشرعية على المطلوب
في”رد المحتار”(3\21) (قوله: ليتحقق رضاهما) أي ليصدر منهما ما من شأنه أن يدل على الرضا إذ حقيقة الرضا غير مشروطة في النكاح لصحته مع الإكراه والهزل رحمتي.. ولو أكرهت على أن تزوجته بألف ومهر مثلها عشرة آلاف زوجها أولياؤها مكرهين فالنكاح جائز
في”تنوير الابصار” (3\58) (ولا تجبر البالغة البكر على النكاح) لانقطاع الولاية بالبلوغ
في”الهندية”(1\332) (وأما ركنه) فالإيجاب والقبول، كذا في الكافي والإيجاب ما يتلفظ به أولا من أي جانب كان والقبول جوابه هكذا في العناية
في”الهندية”(5\42) (وأما) (حكمه) وهو الرخصة أو الإباحة أو غيرهما فيثبت عند وجود شرطه، والأصل أن تصرفات المكره كلها قولا منعقدة عندنا إلا أن ما يحتمل الفسخ منه كالبيع والإجارة يفسخ، وما لا يحتمل الفسخ منه كالطلاق والعتاق والنكاح والتدبير والاستيلاد والنذر فهو لازم، كذا في الكافي
في”فتاوي دار العلوم ديوبند”(7\67) سوال: ایک لڑکی بالغہ سے اس کے والیدن نے زد و کوب کرکے ایجاب کو لیا ہے اور ایک لڑکا سے نکاح کردیا ہے یہ نکاح منعقد ہو یا نہیں ؟ الجواب: زبردستی کرکے اور زد و کوب کررے لڑکی بالغہ سے ایجاب و قبول کر لینے سے بھی نکاح منعقد ہو جاتا ہے
فی”فتاوی عبادر الرحمان”(4\385) الجواب: عاقلہ بالغہ کڑکی کا نکاح اسکی رضامندی سے ہی منعقد ہوتا ہے البتہ اقرار کی صورت میں رضامندی تصور ہوگی اگرچہ بادل نخواستہ ہو..انتهى، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Fatwa ID: 18587
Scroll to Top