তোমাকে ছেড়ে দিলাম এটা ছরীহ বা কেনায়া হওয়া প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: তোমাকে ছেড়ে দিলাম এটা ছরীহ বা কেনায়া হওয়া প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: তোমাকে ছেড়ে দিলাম। কেউ বলে এটা ছরীহ কেউ বলে কেনায়া। আমাদের গ্রামের মানুষ কেউ জানে না এটা বললে কি হয়। তাহলে যে জানে না তার জন্য কি তালাক হবে। এটা কেনায়া বলা হয় কেন যদি শব্দটি ছরীহ হবে। দলীলসহ দিবেন।
নিবেদক
মুহা.রাকিবুল
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: কোন শব্দ বা বাক্য ছরীহ বা কেনায়া হওয়াটা নির্ভর করে সমাজ বা এলাকায় শব্দটির ব্যবহারের উপর। আমাদের দেশে শব্দটির ব্যবহার হিসেবে শব্দটি ছরীহ। কেননা এ কথাটি আমাদের সমাজে শুধু তালাক তথা বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অর্থেই ব্যবহার হয়ে থাকে। অন্য অর্থে ব্যবহার হয় না। আর যে শব্দ শুধু তালাকের অর্থেই ব্যবহার হয় অন্য অর্থে ব্যবহার হয় না সেই শব্দকেই ছরীহ বলা হয়।
সুতরাং আপনাদের এলাকায় যদি উক্ত শব্দটি তালাকের বিকল্প কোন অর্থে ব্যবহার না হয় তাহলে উক্ত শব্দটি ছরীহ হিসাবেই গণ্য হবে যদিও তার হুকুম সম্পর্কে কেউ না জানে।

الاحالة الشرعية على المطلوب-
في “البحر الرائق”(٣/٥٢١) وفي المعراج والأصل الذي عليه الفتوى في الطلاق الفرسية أنه كان فيه لفظ لا يستعمل إلا في الطلاق فذلك اللفظ صريح يقع بلا نية إذا اضيف إلى المرأة مثل رها كردم في عرف اهل خرسان والعراق بهشتم لأنه الصريح لا يختلف باختلاف اللغات وما كان بالفرسية يستعمل في الطلاق وغيره فهو من كنايات الفرسية فحكمه حكم الكنايات العربية في جميع الأحكا
وفي “رد المحتار”(٤/٥٣٠) فإن سرحتك كناية لكنه في عرف الفرس غلب استعماله في الصريح فإذا قال رها كردم أي سرحتك يقع به الرجعي مع أن أصله كناية أيضا وما ذاك إلا لأنه غلب في عرف الناس استعماله في الطلاق وقد مر أن الصريح ما لم يستعمل إلا في الطلاق من أي لغة كانت
و في “فتاوى دار العلوم زكريا”(٤/١٢٧) بعض علماء نے اس کو الفاظ صریحہ میں شمار کیا ہے لہذا بلا نیت طلاق رجعی واقع ہو گی۔حضرت مفتی محمود حسن صاحب رحمت اللہ علیہ نے الفاظ صریحہ میں شمار فرما کر طلاق رجعی کا فتوی مرحمت فرمایا ہے۔نیز حضرت مفتی شفیع صاحب رحمت اللہ علیہ حضرت مولانا تھانوی رحمت اللہ علیہ حضرت مولانا ظفر احمد تھانوی صاحب رحمت اللہ علیہ اور حضرت مولانا عبدالحی لکھنوی رحمۃ اللہ علیہ ان حضرت نے بھی طلاق رجعی تحریر فرمایا ہے
و راجع أيضا في “فتاوى عثمانى”(٢/٣٦٣) انتهى، والله أعلم بالصواب