বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: উপার্জন প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমি একটি সরকারি কলেজের চাকরি করি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কলেজের অভ্যন্তরীণ ইনকোর্স পরীক্ষার ফি নির্ধারিত ২০০ টাকা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি নোটিশ দিয়ে ৪০০ টাকা করে বা দ্বিগুন নিয়ে থাকে। এটা কলেজের প্রচলিত নিয়ম আমি সেই টাকার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাগ পাই। অনেকেই বলছে, কলেজের প্রচলিত নিয়ম মানলে অসুবিধা নেই। কারণ দায়ী হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে। এখন আমি কি যা টাকা পাই তা পুরোটাই নিব? নাকি কলেজের নিয়ম অপেক্ষা করে সরকারি নিয়মে অর্ধেক টাকা নিয়ে বাকি টাকা দান করে দিব? অর্থাৎ যদি আমি ১০০০০ টাকা পাই তাহলে পুরোটাই ভোগ করবো নাকি ৫০০০ টাকা নিব?
নিবেদক
মুহা.ইমরান শাহ।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয় শুধু তাই নিতে পারবে। কলেজ কর্তৃপক্ষের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বৈধ হবে না। যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তা ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরত দেওয়া আবশ্যক। সুতরাং এ ধরনের টাকার ভাগ যদি আপনার কাছে আসে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী যতটুকু টাকা আপনার প্রাপ্য ততটুকু টাকা আপনার জন্য বৈধ হবে। আর নিয়ম বহির্ভূত অতিরিক্ত যে পরিমাণ টাকা আপনার ভাগে এসেছে সে পরিমাণ টাকা আপনার জন্য বৈধ হবে না। অতিরিক্ত টাকা যদি মূল মালিক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় সরাসরি টাকা পৌঁছানোর মাধ্যমে হোক অথবা তাদের প্রত্যেককে গিফট দেওয়া, পুরস্কার দেওয়া ইত্যাদি অজুহাতে হোক তাহলে তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেই ফেরত দিতে হবে। আর যদি কোন ভাবেই তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব না হয় তাহলে তা নিজের পক্ষ থেকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়াই মূল মালিকের পক্ষ থেকে গরীব ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া আবশ্যক।
الإحالة الشرعية على المطلوب-
قوله تعالى في سورة البقرة (١٨٨) ولاتأكلوا أموالكم بينكم بالباطل.
أخرج الإمام المسلم في صحيحه (٢٥٧٨) اتقوا الظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة.
أخرج الإمام البيهقي في شعب الإيمان (٤/١٩٢٣ برقم ٥٤٩٣) عن أبی حرة الرقاشي عن عمه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا يحل مال امرئ مسلم إلا بطيب نفس منه.
في “الدر المختار” (٩/٢٩١) لا يجوز التصرف في مال غيره بلا إذنه.
وفي “الدر المختار” (٩/٢٦٦) ويجب ردعين المغصوب ما لم يتغير تغيرا فاحشا.
وفي “الأشباه” (٢/٢٨٨) لا يجوز التصرف في مال غيره بغير إذنه.
وفي “دار العلوم دیوبند” (١٥/٣٥٠) دوسرے کا مال بلا اجازت مالك کھانا حرام و غصب ہے اور گناہ کبیرہ ہے.
وفي “قاسميه” (٢٢/٦٤) سوال: جو زمین ناجائز طریقہ سے حاصل کی گئی ہے اس کی پیداوار سے کھانا یا کسی طرح کا فائدہ اٹھانا یا کرانا مثلا اس زمین کی پیداوار اور جو اس شخص کے قبضہ میں ہے کسی شخص کو بطور امداد دینا جائز ہے یا نہیں ؟ اور اس کی پیداوار کا کیا حکم ہے؟ جائز ہے یا نہیں؟ اور اس سے صدقہ و خیرات کر سکتے ہیں یا نہیں؟
جواب: جس کی زمین ہے اس کو واپس کر دینا واجب ہے، مالک کی بلا اجازت اس کی پیداوار سے کھانا فائدہ اٹھانا، اور بنیت ثواب اس میں سے صدقہ وخیرات کرنا یا کسی کو بطور امداد دینا سب نا جائز ہے، بلکہ اصل مالک کو واپس کرنا واجب ہے، مگر مالک تک رسائی کی کوئی مشکل نہ ہو تو بلانیت ثواب فقراء کو دیدینا لازم ہے، اپنے تصرف میں لانا جائز نہیں ہے..انتهى، والله أعلم بالصواب