আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

জিলহজ মাস এবং ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বার্ত ও তারিখ ঘোষণা

!! জিলহজ মাস এবং ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বার্ত !!
জিলহজ মাসের আগমনে আমাদের সকলের প্রতি মহান আল্লাহর অসীম রহমত ও বরকত বর্ষণ হোক এই প্রার্থনা। এই পবিত্র মাসটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতেই আমরা হজ্ব পালন করি, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি।

হজ্ব কেবল একটি তীর্থযাত্রা নয়, বরং এটি আত্ম-শুদ্ধি, আত্ম-ত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের একটি মাধ্যম। হজ্বের সময় আমরা আমাদের পাপ-পঙ্কিল জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার সুযোগ পাই।

এই পবিত্র মাসে আমাদের উচিত:

  • আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
  • আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া
  • আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া
  • আমাদের জীবনকে আরও সৎ ও ন্যায়পরায়ণ করে তোলা
  • গরিব ও দুঃস্থদের সাহায্য করা
  • আশা করি, এই জিলহজ মাস আমাদের সকলের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ বয়ে আনবে।

ঈদুল আযহা: ত্যাগ ও সহনশীলতার মহান উৎসবঃ

আল্লাহর অসীম রহমত ও বরকত বহন করে আসে পবিত্র ঈদুল আযহা। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর ত্যাগ ও সহনশীলতার স্মরণে এই মহান ঈদ উদযাপন করা হয়।

ত্যাগের মহিমা:

এই ঈদ আমাদের মনে করিয়ে দেয় ত্যাগ ও সহনশীলতার মহিমা। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে নিজ প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু আল্লাহ তার ত্যাগ ও সহনশীলতার পরিশীক্ষা নিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি পশুকে কোরবানি করার নির্দেশ দেন।

সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা:

ঈদুল আযহা শুধু ত্যাগ ও সহনশীলতার স্মরণই নয়, বরং এটি সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তাও বহন করে। কোরবানির মাংস গরিব ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করে আমরা সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে পারি।

ঈদুল আযহা উদযাপনের তারিখ:

বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন, সোমবার। এই পবিত্র দিনে আমরা সকলে মিলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবো, কোরবানি দেবো এবং গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করবো।

আসুন আমরা সকলে মিলে ঈদুল আযহা উদযাপন করি । ত্যাগ, সহনশীলতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মহান মূল্যবোধ ধারণ করি

ঈদ মোবারক!
আল জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ
পোরশা, নওগাঁ।

শেয়ার করুন !!
Scroll to Top