আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক প্রসঙ্গে।

( ফতোয়া ও মাস‘আলা-মাসায়েল : পোস্ট কোড: 18877 )

বরাবর,
ফাতওয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: কেনায়া ওয়াজ শোনে, একজন ওয়াসওয়াসা রোগী বাস্তবে তার স্ত্রিকে বলেছে, “তুরে যদি কোন  ছেলের সাথে দেখছি, তাইলে তুই বাদ”
নিয়ত: তালক সাথে সাথেই, আবারও তখনই মনে আসছে  তালাক দিব নিয়ত করে বলি তাহলে তালাক হবে না,  কিছুক্ষন পরে নিয়ত, আবার মনে আসছে তালাক। এগুলো মনে মনে কথা হইছে। তালাক হবে?
নিবেদক
মুহা. ফজলে রাব্বি
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী এ কথা বুঝা যাচ্ছে যে, একজন ওয়াসওয়াসার রুগী তার স্ত্রীকে বলেছে “তুরে যদি কোন ছেলের সাথে দেখছি, তাহলে তুই বাদ”। এ কথা বলার সময় সে নিয়ত করেছে স্ত্রীর উপর সাথে সাথে তালাক পড়ে যাওয়ার। এ ক্ষেত্রে কথাটি শর্তযুক্ত তালাকের অন্তর্ভুক্ত হবে। শর্ত পাওয়া গেলে এক তালাকে বায়েন কার্যকর হয়ে স্বামী স্ত্রীর বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, আপনার উক্ত বক্তব্যে নিয়ত ছিল তালাক সাথে সাথেই। এ নিয়তটিই কার্যকর হবে। এরপর নিয়ত সম্পর্কে যা কিছু মনে মনে ভেবেছেন তার কোন ধর্তব্য হবে না।

الإحالة الشرعية على المطلوب-
في “در المختار” (3/296) كنايته عند الفقهاء مالم يوضع له أي الطلاق واحتمله وغيره فالكنايات لا تطلق بها قضاء إلا بنية
وفي “الهداية” (2/385) وإذا أضافه إلى شرط وقع عقيب الشرط مثل أن يقول لامرأته إن دخلت الدار فأنت طالق
وفی “قاسمیۃ” (16/58)  جب طلاق کے لئے کنائ الفاظ کو کسی شرط پر معلق کیا جائے تو طلاق کا قرینہ اور شرط کے پائے جانے کے بعد ایک طلاق بائن واقع ہوتی ہے …… چونکہ طلاق مغلظہ نہیں ہوئ ہے اس لئے حلالہ کی ضرورت نہیں، ہاں البتہ شرعی طورپر باضابطہ نکاح کرکے اس شوہر کے پاس رہ سکتی ہے
وفی ” دارالعلوم دیوبند” (10/62) اگر بلفظ کنایہ تعلیق کی ہے تو اگر نیت طلاق سے وہ الفاظ کہے ہیں تو بعد تحقق شرط طلاق واقع ہو جاتی ہے۔..انتهى، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Fatwa ID: 18877
Scroll to Top