খোলা তালাক প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: খোলা তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার সামনে কথা বলতে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য লিখিতভাবে তালাক দিলে তালাক পতিত হয় না। তাই আপনার বন্ধু কর্তৃক উক্ত তালাক পতিত হয়নি।
তবে যদি স্ত্রীর উপস্থিত বা অনুপস্থিত অবস্থায় মুখে তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে পতিত হবে। সেইসাথে স্ত্রীর অবর্তমানে বা অনুপস্থিতিতে তালাকনামায় সাইন করে, তাহলে তালাক পতিত হবে।

لأن الكتابة أقيمت مقام العابرة باعتبار الحاجة، ولا حاجة هنا (رد المحتار،  زكريا-4/440، كرتاشى-3/236، البحر الرائق،  زكريا-3/429، كويته-3/246، فتاوى قاضى خان على هامش الهندية-1/427، جديد-1/287)
لأن الكتابة كالخطاب باعتبار الحاجة، ولا حاجة هنا (الفتاوى البزازية على هامش الهندية-4/185، جديد-1/120)
معتقل اللسان أى فلا يعتبر إيماؤه ولا كتابته (رد المحتار، زكريا-10/460، كرتاشى-6/737)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
https://ahlehaqmedia.com/14497

প্রশ্ন: কোন  স্ত্রী যদি তার স্বামীর কাছে খোলা চায় এবং তাদের দুই পরিবার যদি কাজি অফিস এ গিয়ে স্বামী কে সেই স্ত্রী মোহর এর টাকা মাফ দিয়ে। সেই স্বামী মুখে কিছু বলে নি শুধু সেই স্বামী স্ত্রী খোলার পেপার সই না নিয়ে কাজির কাছে থাকা বালাম বই সই নিয়েছিল । কাজি  সব কিছু দেখেই সই করেছিল কাজিই পুরন করে দিয়েছিল। সেটা কি শরিয়ত সম্মত হয়েছে? তার ৬ মাস পর সেই স্ত্রী আবার অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ছে সেই বিয়ে কি তাদের শুদ্ধ হয়ছে ?
কাজি ওই স্বামী কে যেখানে সই করতে বলেছিল ছেলে ও সেখানেই সই করেছিল। সাথে  সেই অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলো। কোন স্ত্রীর আবেদনে স্বামী স্ত্রী একই মজলিসে উপস্থিত হয়ে কাজি অফিস তারা যদি বালাম খাতায়  সেই স্বামী সব বুঝে শুনে সেখানে অনেক লোকজন ছিলো এবং তাদের উপরে যে একটা পোস্ট করেছিলো খোলার জন্য,  কি একই নিয়ম,,,,,,,,https://ahlehaqmedia.com/14497
নিবেদক
মুহা. রিমন
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী স্বামী স্ত্রী উভয়ে যেহেতু বুঝে শুনে নিজের ইচ্ছায় খোলার ব্যাপারে বালাম খাতায় স্বাক্ষর করেছে এজন্য তাদের মাঝে খোলা কার্যকর হয়ে তার স্ত্রীর উপর এক তালাকে বায়েন কার্যকর হয়েছে। অতপর ছয় মাস পরে ইদ্দত শেষ হওয়ার কারণে অন্য ছেলের সাথে তার বিবাহ করাও সঠিক হয়েছে।
আর যারা বলেন স্ত্রী উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার সামনে কথা বলতে সক্ষম স্বামীর জন্য লিখিতভাবে তালাক দিলে তালাক পতিত হয় না”আমাদের মতে এ বক্তব্যটি সঠিক নয়। বরং উক্ত বক্তব্যটি বিশেষ একটি অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত। আর তা হল, কেউ যদি স্বামীকে তালাকের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি করে, অতপর চাপ সৃষ্টির কারণে স্বামী মুখে না বলে লিখিতভাবে তালাক দেয় তাহলে তালাক কার্যকর হবে না। পক্ষান্তরে স্বামীকে কেউ যদি তালাকের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি না করে স্বামী নিজে জেনে শুনে নিজের ইচ্ছায় স্ত্রীকে লিখিতভাবে তালাক দেয় চাই স্ত্রী উপস্থিত থাকুক অথবা না থাকুক সর্ব অবস্থায় স্ত্রীর উপর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।

الإحالة الشرعية على المطلوب
في “البحر الرائق”(٣/٤٢٩) وقيدنا بكونه على النطق لأنه لو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لا تطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا
وفي “البزازية”(١٠/١٢١) أكره بالضرب والحبس على أن يكتب طلاق امرأته فكتب فلانة بنت فلان طالق لا يقع لأن الكتاب كالخطاب باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا
وفي “رد المحتار”(٤/٤٤٠) فلو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لا تطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة لا حاجة هنا
وفي “رد المحتار”(٤/٤٤٢) الكتابة على نوعين مرسومة و غير مرسومة ونعني بالمرسومة أن يكون مصدرا و معنونا مثل أن يكتب إلى الغائب وغير المرسومة أن لا يكون مصدرا و معنونا وهو على وجهين مستبينة وغير مستبينة فالمستبينة ما يكتب على الصحيفة والحائط والأرض على وجه يمكن فهمه وقراءته وغير المستبينة ما يكتب على الهواء والماء وشيء لا يمكن فهمه وقراءته ففي غير المستبينة لا يقع الطلاق وإن نوى وإن كانت مستبينة لكنها غير مرسومة إن نوى الطلاق يقع وإلا لا وإن كانت مرسومة يقع الطلاق نوى أو لم ينو.
و في “فتاوى رحیمیہ”(٨/٣٠٩) تحریری طلاق زبانی طلاق کی طرح ہے یعنی جو حکم زبان سے بولنے کا ہے وہی حکم تحریر کا ہے البتہ حالت اکراہ میں یعنی جبرا لکھوانی کی حالت میں جب تک زبان سے طلاق نہ کہے طلاق واقع نہیں ہوتی
و في “فتاوی دار العلوم زکریا”(٤/١٥٩) سوال اگر کوئی شخص اپنی بیوی کی حاضری میں طلاق لکھ پر دے دے اور زبان سے کچھ نہ کہے کیا یہ طلاق واقع ہوگی یا نہیں؟جواب تحریری طلاق زبانی طلاق کی طرح ہے بیوی حاضر ہو یا غائب ہر  صورت طلاق واقع ہو جاتی ہے۔ ہاں اگر کسی پر اکراہ کیا جائے تو مکرہ کی تحریر معتبر نہ ہوگی اور طلاق بھی واقع نہ ہوگی..انتهى، والله أعلم بالصواب