বরাবর,
ফাতওয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: কেনায়া তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম, গত কয়েকদিন কেনায়া তালাকের মাসালা দেখে নানা রকম ওয়াসওসা মনে আসছে। আমি দুইএকবার (মনে হয় একবার) রাগারাগি করে আমার স্ত্রীকে শাস্তি স্বরূপ বাসা থেকে বের করে দেই (দরজার বাইরে)। মুখে তালাক সূচক কিছুই বলিনাই। শুধু বলেছি বাসা থেকে বের হন। আমার তালাকের কোনও নিয়ত এমনকি চিন্তাও ছিলো না। ৫-১০ মিনিট তাকে সাজা দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। আমাদের মধ্যে তালাক সংক্রান্ত কোন কথাও হয় নাই। এই ধরনের আচরণে কি আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনও ক্ষতি হয়েছে। নানা টকম ওয়াসওয়াসা মাথায় আসছে।
হুজুর একটু তাড়াতাড়ি জানাবেন খুব পেরেশানির মধ্যে আছি।
নিবেদক
মুহা. ইয়াসির আরাফাত
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ সত্য হলে আপনার স্ত্রীর উপর কোন তালাক কার্যকর হয়নি। কেননা তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য যে শর্ত রয়েছে তা এখানে পওয়া যায়নি।
الإحالة الشرعية على المطلوب-
في “المصنف لإبن أبي شيبة (9\660) عن الحسن في الرجل قال لإمرأته أخرجي. إستبري. اذهبي لا حاجة لي فيك فهي تطليقة إن نوى الطلاق
و في “الدر المختار” (3\297) والكنايات لا تطلق بها قضاء إلا بنية أو دلالة الحال فنحو أخرجي و أذهبي ففي حالة الرضاء تتوقف على نية وفي الغضب تتوقف الأولان ان نوى وفي مذاكرة الطلاق
وفي “البدائع الصنائع”(4\284) ولا خلاف أنه لا يقع الطلاق بشئ من ألفاظ الكناية إلا بالنية فإن كان قد نوى الطلاق يقع فيهما بينه و بين الله تعالى وإن كان لم ينو فيهما بينه و بين الله
وفي “البحر الرائق” (3\518) لا تطلق بها إلا بنية أو دلالة الحال فتطلق واحدة رجعية إلخ أي لا تطلق بالكنايات قضاء إلا باحدى هذين. ..انتهى، والله أعلم بالصواب