বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: পুরানা কবরস্থানে জানাযার নামায পড়া প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর, আমাদের এলাকায় একটি মাঠ আছে। যেটি খাস জমি। মুরুব্বিরা বলে এখানে ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে মৃতু ব্যক্তিদের কবর দেওয়া হত। এখন লোকেরা এখানে খেলাধুলা করে। এখন মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, ঐ খাস জমিতে জানাযার নামায পড়া যাবে কি না?
নিবেদক
মাওলানা মুহা.জাহিদুল ইসলাম
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: উক্ত খাস জমিতে জানাযার নামায পড়া জায়েয আছে। কেননা বাংলাদেশের জমিতে ৭০ থেকে ৮০ বছর পরে লাশ আর বাকি থাকে না বরং তা মাটি হয়ে যায়। আর কোন জমিতে দীর্ঘদিন লাশ থাকার কারণে যদি লাশের চিহ্ন বাকি না থাকে বরং তা মাটি হয়ে যায় এবং তা কবরস্থানের জন্যে ওয়াকফকৃত না হয় তাহলে সেখানে নামায পড়া, মসজিদ নির্মাY করা এবং অন্যান্য কাজ করা জায়েয আছে।
الإحالة الشرعية على المطلوب-
في “تبيين الحقائق”(١/٥٨٩) ولو بلى الميت وصار ترابا جاز دفن غيره في قبره وزرعه والبناء عليه
وفي “الدر المختار”(٣/١٧١) كان تكون الأرض مغصوبة أو أخذت بشفعة ويخير المالك بين إخراجه ومساواته بالأرض كما جاز زرعه والبناء عليه إذا بلى وصار ترابا
وفي “كفايت المغتي”(٧/١٣٥) سوال کیا ایسی زمین پر جس میں پرانا قبرستان ہو آثار کچھ باقی نہ رہ گئی ہو اور عرصہ سے اس کی اوپر کاشت کی جا رہی ہو اس زمین پر عیدگاہ یا مسجد کی تعمیر کرانا اور اس میں نماز پڑھنا از روے شرح جائز ہے یا نہیں جو اب اگر یہ زمین مملوکہ ہے قبرستان کے لیے وقف نہیں اور قبروں کی آثار مٹ گئی ہو تو اس پر مالکیوں کی اجازت سے مسجد یا عیدگاہ بنائی جا سکتی ہے اور اس میں نماز جائز ہے
وفی “فتاوی محمودیہ”(٢٣/٣٠٣) قبریں جب اتنی پرانی ہو جائے کہ ان میں میت موجود نہ رہے بلکہ مٹی بن جائے تو حکم بدل جاتا ہے ایسی صورت میں قبروں کو ہموار کر کے وہاں نماز پڑھنا درست ہے.انتهى، والله أعلم بالصواب