আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

বিবাহ ও তালাক প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: বিবাহ ও তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম, মুফতি সাহেব, আমার একটা ফতোয়া জানার ছিলো,
আমি বিয়ে করেছি তিন মাস আগে ভিডিও কল এর মাধ্যমে, কারণ আমি প্রবাসে আছি তিন বছর ধরে, তাই আমি আমার মামাকে বলি আমি অমুক মেয়েকে বিয়ে করতে চাই আমার পক্ষ থেকে আপনি যাবেন আমার মামা বলেন আচ্ছা আমি যাবো, মেয়ের ফ্যামিলির পাঁচজন উপস্থিত ছিলো, আমার পক্ষ থেকে শুধু আমার মামা ছিলো, তখন কাজি সাহেব আমাদের বিয়েটা পরিয়ে দেন, কাজি সাহেব ওখান থেকে আমাকে বলেছিলো যে, তুমি যদি অমুক এর মেয়ে অমুক কে বিয়ে করতে রাজি থাকো তাহলে বলো কবুল, আমি তিনবার কবুল বলেছিলাম, মেয়েকে কাজি যখন বলেছিল, এই ভরা মজলিসে এই সাক্ষীদের সামনে তুমি কি (আমার নাম রিদয়) রিদয় কে বিয়ে করতে রাজি আছো ? তাহলে বলো কবুল, মেয়ে ও তিনবার বলেছিলো কবুল, কিন্তু এখন আমার মামার কাছ থেকে জানতে চাইলাম যে, আপনাকে কি কাজি সাহেব বলেছিল যে, তোমার ভাগিনার উকিল তুমি ? আমার মামা বলেন না, আমাকে ওই রকম কিছু বলেনি শুধু বলেছিল (কাজি সাহেব) যে, তোমার ভাগিনা যে বিয়ে করতে চাচ্ছে এতে তুমি কি রাজি আছো ? আমার মামা বলেছিলো যে, হুম আমি রাজি আছি। আমার মামা নাকি শুধু ওখানে সাক্ষী হয়ে সই দিয়েছিল এখন আমাকে বলছে।  আমার যতটুকু মনে হয় আমি উকিল বানানোর কথা বলিনি, সন্দেহ আছে। হুজুর এখন কি আমাদের বিয়ে বৈধ হয়েছে ? আমার মামা কে তো আমিই বলেছিলাম যে, আমার বিয়েতে আপনাকে থাকতে হবে। এর কিছু দিন পর আমাদের মধ্যে বনি বনা না হওয়ার কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, এক এক করে ভিন্ন ভাবে তিন তালাক দিয়ে দেই, বিয়ের পর আমাদের সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ হয়নি, কিন্তু ভিডিও কলে আমরা একে অপরের গোপন জায়গা গুলো দেখেছি এবং দুইজনই একসাথে হস্তমৈথুন করেছি ,এখন প্রশ্ন হলো, আমরা দুইজন যদি আবার সংসার করতে চাই তাহলে কি আবার নতুন করে নতুন মহর ধার্য করে বিবাহ করতে হবে ? নাকি শুধু মুখে মেনে নিলেই হবে। দয়া করে জানাবেন, প্লিজ আমরা প্রবাসী সরাসরি ফতোয়া বিভাগে গিয়ে ফতোয়া নেয়া সম্ভব না।
নিবেদক
মুহাম্মাদ রনি
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনার বিবাহ সহীহ হয়নি। কেননা অনুপস্থিত ব্যক্তির বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য কাউকে তার পক্ষ থেকে উকিল বানানো শর্ত আর আপনি তা করেননি। এছাড়া আপনার মামার এই কথা আমি রাযী আছি বলার দ্বারাও বিবাহ সহীহ হয়নি, কেননা আমি বা আমরা রাযী আছি, এটা আকদটাকে অনুমতি দেওয়া বুঝায় আকদ সম্পন্ন করা বুঝায় না। তাই তালাকও কার্যকর হয়নি। এখন যদি আপনারা ঘর সংসার করতে চান, তাহলে নতুন করে সঠিক পদ্বতিতে বিবাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিবাহের সঠিক পদ্বতি হল, আপনি কাউকে আপনার পক্ষ থেকে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করার জন্য উকিল নিযুক্ত করবেন। উক্ত উকিল স্বশরীরে বিবাহের মজলিসে উপস্থিত হয়ে আপনার পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব করবে অথবা কবুল করবে। তাহলে বিবাহটি শুদ্ধ হবে।
উল্লেখ্য, আগের বিবাহটি যেহেতু সহীহ হয়নি তাই পূর্বের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে খাঁটি দিলে তওবা করতে হবে।

الاحالة الشرعية على المطلوب
وفي”الدرالمختار”(4/97) (وشرط سماع كل من العاقدين لفظ الاخر) ليتحقق رضاهما وشرط حضور شاهدين حرين أو حر وحرتين سامعين قولهما على الأصح
وفي”الفتاوى الهندية”(1/332) واما شروطه :فمنها سماع كل من العاقدين كلام صاحبه هكذا فى فتاوى قاضيخان
وفي”البحرالرائق”(3/136) وينعقد بايجاب وقبول وضعا للمضى أواحدهما عند حرين أو حروحرتين عاقلين بالغين مسلين – واختلف في اشتراط سماع الشاهدين معا فنقل فى الذخيرة روايتين عن أبي يوسف رح وجزم فى الخانية بأنه شرط فكان هو المذهب فلو سمعا كلامهما متفرقين لم يجز ولو اتخذ المجلس فالحاصل أنه يشترط سماعهما معا مع الفهم على الأصح
وفي”فتاوى قاضيخان”(7/197) وان قالهما الشهود رضيتما أو أحزتما فقالا رضينا أو اجزنا لم يكن نكاحا لأن الاجازة تنفيذ للعقد وليست بإنشاء
في”الهداية”(2/322) ولنا أن الوكيل في النكاح معبر وسفير
وفي”الدر المختار”(4/210) لأن الوكالة نوع من الولاية لنفاذ تصرفه على المؤكل وأعلم أنه لا تشترط الشهادة على الوكالة بالنكاح بل على عقد الوكيل  وإنما ينبغى أن يشهد على الوكالة إذا خيف جحد المؤكل إياها
وفي”التاتارخانية”(4/146) ويصح التوكيل بالنكاح وإن لم يحضره الشهود وإنما يكون الشهود شرطا في حال مخاطبةالوكيل المرأة
وفي”المحيط البرهاني”(4/54) فأما إذا قال الوكيل هب ابنتك من فلان فقال الأب وهبت لا ينعقد النكاح مالم يقل الوكيل قبلت فإذا قال قبلت لفلان أو قال قبلت مطلقا ففي الوجهين ينعقد العقد للمؤكل
وفي”الفتاوى الولوالجية”(1/319) أما اذا قال هب لفلان فقال الأب وهبت مالم يكل الوكيل قبلت لايصح فإذا قال قبلت لفلان يصح النكاح للموكل وإن قال قبلت مطلقا يجب أن يصح هاذا أيضا للمؤكل.
وفي”فتاوى قاضيخان”(7/202) ولايصح النكاح مالم يسمع كل واحد من العاقدين كلام صاحبه ويسمع الشاهدان كلامهما معا فإن سمع أحد الشاهدين كلامهما ولم يسمع الشاهد الآخرلايجوز
وفي”فتاوى عباد الرحمان”(4/332)  موبائل فون  ٹیلیفون کے ذریع مجلس نکاح میں ایجاب و قبول کر لینے سے نکاح  منعقد ہو جاتاہے یا نہیں ؟ الجواب: نکاح  میں چونکہ دوگواہوں کا مجلس میں  حاضر ہونا اور دونو ں کا ایجاب و قبول سن لینا شرط کے درجہ میں ضرو ری ہے اس لئے ٹیلیفون  یا موبائل       پر نکاح  نکاح نہیں ہو سکتا  ہے
وفي”فتاوى حقانيه”(4/381) سوال: اگر لڑکا یا لڑکی اپنے نکاح کیلئے کسی کو وکیل بنائیں  اور وہ ان کی طرف سے ایجاب  قبول کرے تو اس سے نکاح منعقد ہو جائے گا یا نہیں؟ الجواب: نکاح وانکاح ان امور میں سے ہے جن میں وکالت جائز ہے پس لڑکا یا لڑکی اپنے نکاح میں ایجاب قبول کیلئے کس کو وکیل بنا سکتے ہیں اور اس پر اکتفاء کرکے ان کا نکاح منعقد ہوگیا
وفي”فتاوى قاسميۃ”(15/118)  الجواب :ٹیلیفون   پر نکاح جائز نہیں ہے کیکہ نکاح کی صحت کیلے مجلس عقد اور حضور شاھدین شرط ہے  جو ٹیلیفون کی صورت میں ممکن نہیں   ہے اس لے ٹیلیفون پر  نکاح نہ ہوگا    .البتہ ٹیلیفون پر نکاح کیلے یہ صورت ہو سکتی ہے کہ ٹیلیفون کے ذریعہ لڑکا  یا لڑکی کی جانب سے کسی متعارف آدمی کو وکیل بنادیا جائے  پھر وہ متعارف شخص دوگواہوں کے سامنے لڑکا یا لڑکی یا  ان کے اولیا  سے ایک مجلس میں ایجاب وقبول  کر لے پر اس کی اطلاع ٹیلیفون پر دوسرے کو دیدی جائے تو اس طرح نکاح  صحیح ہو سکتاہے .   إنتهى ، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

শেয়ার করুন !!
Scroll to Top