আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

তালাককৃত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে

শেয়ার করুন !!

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: তালাককৃত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম, আমার স্ত্রীর সাথে একদিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগের মাথায় মেসেজের মাধ্যমে (তালাক তালাক তালাক ও বাবার নাম উল্লেখ করে তালাক লিখে পাঠাই)। এরপর কিছুদিন পর আবার আমাদের বুনিবনা হচ্ছে না দেখে ফ্যামিলি থেকে সবাই মিলে ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ইনস্টান্ট কাজি ডেকে রেজিস্ট্রার খাতায় ৪ জন সাক্ষীসহ আমাদের সাইন এর মাধ্যমে ডিভোর্স হয়। কিন্তু ভিতরের লিখা সম্পর্কে আমরা কেউ অবগত না। সম্পূর্ণ রাগারাগির মধ্য ঘটনাটি ঘটে। আমার ইদ্দতের দেড় মাস চলে। এখন কি কোন সুযোগ আছে ফিরে যাওয়ার? দয়া করে জানাবেন।
নিবেদক
ইনজামুল হক খান
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বক্তব্য (মেসেজের মাধ্যমে) “তালাক তালাক তালাক” লিখার দ্বারা যদি তিন তালাক উদ্দেশ্য নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক কার্যকর হয়েছে এবং আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীকে আর ফিরিয়ে নেওয়ার স্বাভাবিক কোন পন্থা নেই। আর যদি আপনার বক্তব্য (মেসেজের মাধ্যমে) “তালাক তালাক তালাক” লিখার দ্বারা এক তালাকই উদ্দেশ্য নিয়ে থাকেন এবং বাকী তালাক শব্দ দ্বারা ঐ তালাকটিকেই পুনরাবৃত্তি করা ও মজবুত করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবুও দুনিয়ার বিচারে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাকই কার্যকর হয়েছে, তবে আখেরাতের বিচারে ও আল্লাহর নিকট এক তালাক কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর কাজি ডেকে রেজিস্ট্রার খাতায় আপনি এবং আপনার স্ত্রী কয় তালাকের উপর সাক্ষর করেছেন, তা না জানা পর্যন্ত আমাদের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ ফয়সালা দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি তালাকনামা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিলেই এর পরিপূর্ণ সমাধান দেওয়া সম্ভব।

الاحالة الشرعية على المطلوب-
قوله تعالى في “سورة البقرة” (230) فإن طلقها فلا تحل له من بعد حتى تنكح زوجا غيره۝.
أخرج الإمام البخاري رح. في “صحيحه” (2/791) برقم (5062) من حديث عائشة رضي الله عنها أن رجلا طلق امرأته ثلاثا فتزوجت فطلق فسئل النبي ﷺ أتحل للأول قال لا حتى يذوق عسيلتها كما ذاق الأول
و في ” رد المحتار” (4/442) (كتب الطلاق الخ) — و إن كانت مستبينة  لكنها غير مرسومة إن نوى الطلاق يقع وإلا لا، وإن كانت مرسومة يقع الطلاق نوى أو لم ينو، ثم المرسومة أما إن أرسل الطلاق بأن كتب: أما بعد فأنت طالق فكما كتب هذا يقع الطلاق و تلزمها العدة من وقت الكتابة
و في “رد المحتار” (4/439) و يقع طلاق من غضب
و في ” الهندية” (1/423) رجل قال لإمرأته: أنت طالق أنت طالق أنت طالق، فقال عنيت بالأولى الطلاق و بالثانية و الثالثة إفهامها صدق ديانة و في القضاء طلقت ثلاثا
**و في ” التاتارخانية” (4/429) و في الحاوي: ترا يك طلاق ترا يك طلاق ترا يك طلاق! بغير عطف وهي مدخول بها تقع ثلاث تطليقات
و في “الهندية” (1/446) رجل استكتب من رجل أخر — وكتب في عنوانه و بعث به إلى امرأته، فأتاها الكتاب وأقر الزوج أنه كتابه فإنه الطلاق يقع عليها
و فی ” فتاوی  قاسمیہ ” (15/113) جب شوہر لکھ کر طلاق دے اور اپنی   تحریر کا بعد میں اقرار کرے تو شرعی طور پر ایسی طلاق صحیح اور معتبر ہو جاتی ہے   لہذا  مذکورہ صورت میں جب لڑکے نے موبائل پر لکھ کر بیوی کو    تین طلاق کا مسیج کر دیا ہے اور بیوی کے موبائل پر شوہر کی طرف سے لکھی ہوئ طلاق کا مسیج آگیا ہے اور شوہر نے بعد میں زبانی اقرار بھی کیا ہے اس سے شرعی طور پر تینوں طلاقیں واقع ہو گئیں ، اب آئندہ بغیر حلالہ دونوں کے درمیان نکاح بھی درست نہ ہوگا..انتهى ، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।


শেয়ার করুন !!
Scroll to Top