বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়:দান প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: দাতাগণ মাদরাসার জন্য ত্রিশ শতাংশ জমি ওয়াকফ করেছেন। কিন্তু না জেনে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, পরবর্তীতে দলিল দেখে জানা যায় মসজিদের নামে কোন জমি নেই। এখন এ মসজিদে করণীয় ও বর্জণীয় কি? জানালে উপকৃত হবো।
নিবেদক
নুরুন্নবী
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: ওয়াকফ সম্পত্তির বিধান হচ্ছে, যে কাজের জন্য সম্পত্তি ওয়াকফ করা হয়েছে সে কাজেই ব্যবহার করতে হবে। অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এখন প্রশ্নোক্ত মসজিদটি যদি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের উদ্দেশ্যেই নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাহলে মাদরাসার জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করাটা বৈধ হয়েছে। আর যদি উক্ত মসজিদটি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা না হয়ে থাকে, বরং মহল্লার মসজিদ বা সাধারণ মুসলমানদের জন্য নির্মিত হয়ে থাকে তাহলে এখন করণীয় হল, উক্ত মসজিদটিকে মাদরাসার অধিনস্থ বানিয়ে দিয়ে মাদরাসার মুতাওয়াল্লিদের নিকট সোর্পদ করে দেওয়া । এক্ষেত্রে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ চাইলে সেটিকে মাদরাসার মসজিদ হিসেবেও বহাল রাখতে পারে আবার চাইলে ছাত্রাবাস হিসেবেও সেটিকে ব্যবহার করতে পারে।
الاحالة الشرعية على المطلوب
في” الدر المختار”(6/540) فاذا تم ولزم لا يملك ولا يملك ويعار ولا يرهن
وفي” الدر المختار” (6/549) لو بنى فوقه بيتا للإمام لا يضر لأنه من المصالح
وفي ” البحر الرائق”(5/352) والذى يبتدابه من ارتفاع الوقف عمارته شرط الواقف أو لا ثم هو اقرب الى العمارة اعم للمصالح كالإمام للمسجد والمدرس للمدرسة
وفي”کتاب النوازل”(13/217)سوال: مدرسہ کی زمین میں مسجد بنانے سے مسجد شرعی بن جاتی ہے، جواب: یہ جگہ مسجد ہوگئ اسے خالی نہ کرایا جائے، مسجد بنانا مدرسہ کے وقف کے منافی نہیں ہے
و في”فتاوی قاسمیہ”(24/531) سوال: مدرسہ کی زمین پر مسجد تعمیر کرنے کا حکم، جواب: جب وہاں مدرسہ بننا ہے تو مسجد کو مدرسہ کے ذمہ داروں کی تولیت میں دیدیا جائے ،اور مدرسہ اور مسجد دونوں کی ذمہ دار ایک ہو جائیں.انتهى ، والله أعلم بالصواب