বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: হেবা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমার বাবা ২ বিবাহ করেছে প্রথম ঘরে ১ ছেলে ১ মেয়ে আছে তাদেরকে দেখাশুনা করতে আমার বাবা তার দাদি কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং দাদি ১ টি বাড়ি লিখে দিয়েছিলেন এবং আমাদের কে সাথে নিয়ে আছেন।আমার বাবা থাকছিলেন তার নিজের বাসায় এবং আমাদের ২ ভাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন তার সম্পদ হেবা দলীলের মাধ্যমে গোপনভাবে। এখন তারা জানতে পেরে তারা বলতেছে আমরাও পাই। এখন বাবা বেচে নেই মারা গেছে ৪ বছর হল। এখন কি আমার ঐ ভাই বোন আমাদের বাবার সম্পদ কি পায়?
নিবেদক
মুহা.ফয়সাল
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার বাবা যদি সুস্থ অবস্থায় হেবা দলীলের মাধ্যমে তার সম্পদ আপনাদের দুই ভায়ের নামে লেখে দেয় এবং সুস্থ অবস্থায় দলীলও আপনাদের কাছে হস্তান্তর করে দেয়, তাহলে আপনার বাবার হেবা কার্যকর হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনার বাবা অন্য পক্ষের সন্তানদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এটা করে থাকে তাহলে আপনার বাবা মারাত্মক গুনাহগার হবে। এক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আপনাদের দায়িত্ব হল অন্য পক্ষের ভাই বোনদেরকে তাদের অংশ দিয়ে দেওয়া, তাহলে আশা করা যায় আপনার বাবা উক্ত গুনাহ থেকে নাজাত পাবে।
আর যদি আপনার বাবা এমন অসুস্থতার মধ্যে আপনাদেরকে হেবা করে থাকে যে অসুস্থতার কারণে আপনার বাবা মারা গেছেন তাহলে হেবা কার্যকর হবে না। উক্ত সম্পদ মিরাছ হিসাবে গণ্য হবে এবং আপনার অন্য ভাই বোনও মিরাছ হিসাবে উক্ত সম্পদের অংশ পাবে।
الإحالة الشرعية على المطلوب-
في “تبيين الحقائق”(٦/٤٨) وأما شرط جوازها فالقبض حتى لا تثبت الملك للموهوب له عندنا قبل القبض
و في “الهندية”(٤/٣٩٩) ولا يتم حكم الهبة إلا المقبوضة ويستوى فيه الأجنبي والولد إذا كان بالغا هكذا في المحيط
و في “الدر المختار”(٨/٤٨٩) و شرائط صحتها في الموهوب أن يكون مقبوضا
وفي “مجمع الأنهر”(٣/٤٩٢) المراد بالقبض الكامل في المنقول ما هو المناسب وفي العقار أيضا ما يناسبه
و فی “فتاوی قاسمیہ”(٢١/٢٢٦) جب زید نے اپنی زندگی میں ایک لڑکی کے نام زمین کا ایک حصہ رجسٹری کر کے مالک بنا دیا ہے تو وہ لڑکی اس حصہ کی مالک بن گئی اور زمین جائیداد میں سرکاری رجسٹری کر کے اس کے کاغزات پر قبضہ دے دینا زمین پر قبضہ کی درجہ میں ہے لہذا زید کے مرنے کے بعد زمین کا جو حصہ لڑکی کے نام پر رجسٹری کر دیا گیا ہے میراث میں شامل نہ ہوگا
و فی “کفایت المفتی”(٨/١٧٣) اگر صحت ہبہ اور تکمیل ہبہ کی تمام شرائط پوری ہو جاتے اور ہبہ ہو جاتا تو ہم چونکہ مرحوم سے اس ہبہ میں نہ انصافی سرزد ہوئی تھی اس لیے سعادتمند لڑکوں کا اخلاقی فرض ہے کہ وہ والد مرحوم کی غلطی یا نا انصافی کی تلافی کر دیں اور ان کو آخرت کی مواخذہ سے نجات دلائیں اگر دوسری بھائی اس پر امادہ نہ ہوں تو آپ اپنے حصہ میں سے بہن کو دیدیں
و فی “فتاوی دار العلوم کراچی”(٥/٢٢٣) صورت مذکورہ میں اگر ولی محمد کی والدہ نے اپنی اس جائیداد پر مالکانہ قبضہ بھی اپنے مرض وفات سے پہلے ولی محمد کو کرار دیا تھا تو ولی محمد اپنی والدہ کی حیات ہی میں اس جائیداد کا تنہا مالک ہو چکا ہے لہذا ولی محمد کی والدہ کی دیگر وارثوں یا رشتہ داروں کا اس جائیداد میں کوئی حق نہیں اور اگر مرحومہ نے اس جائیداد کو ولی محمد کے نام تو کرار دیا تھا مگر ولی محمد کو اس جائیداد پر مالکانہ قبضہ نہیں کرایا تھا یا قبضہ بھی کرادیا تھا مگر جس مرض میں مرحومہ کا انتقال ہوا اس مرض کی حالت میں کرایا تھا تو یہ جائیداد مرحومہ کی زندگی میں مرحومہ کی ملکیت رہی۔مرحومہ کے انتقال کے وقت مرحومہ کے جو وارث زندہ تھے ان میں شرعی قائدے کے مطابق تقسیم ہوگی
وراجع أيضا في “احسن الفتاوى”(٧/٢٥٦) و في “جامع الفتاوى”(٩/٢٧٢) ..انتهى، والله أعلم بالصواب