বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: ঝাড়ফুঁক করা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমাদের মসজিদের ইমাম ঝাড়ফুঁক করে, তিনি পানির মধ্যে তাকিয়ে রোগ সম্পর্কে বলে দেন, এছাড়াও হজ্বে মাথায় যে কালো কাপড় বাধে হাজিরা সে কাপড়ের সুতা চায়, চুরি যাওয়া বস্তু ও চোর খুঁজে বের করার দাবি করে এই কর্মকাণ্ড কি শরীয়ত সম্মত? তার পিছনে কি নামায হবে?
নিবেদক
মুহা. তোফায়েল
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: ঝাড়ফুঁক করা জায়েয আছে। কোন ধরণের মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় না নিয়ে শরয়ী তদবীরের মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে জেনে সে অনুযায়ী তথ্য দেওয়ারও সুযোগ আছে। কেননা তদবীরের মাধ্যমেও কিছু রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। এমনিভাবে শরয়ী তদবীরের মাধ্যমে কখনো কখনো চুরি হওয়া বস্তু উদ্ধার করাও সম্ভব হয়। তবে বস্তুটি উদ্ধার হওয়ার পর সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে সুপ্রমাণিত হতে হবে যে, এটি চুরি হওয়া বস্তু, তখনই বস্তুটি মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া যাবে। তবে তদবীরের মাধ্যমে কাউকে চোর সাব্যস্ত করা জায়েয নেই। সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া শুধু তদবীরের ভিত্তিতে কাউকে চোর সাব্যস্ত করা গুনাহের কাজ। তাই তার জন্য এ দাবিটি করা সঠিক হয়নি। প্রশ্নোক্ত ইমাম সাহেব যদি কোন ধরনের মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় না নিয়ে তদবীর ও ঝাড়ফুঁক করে থাকেন তাহলে তার পিছনে নামায আদায় করা বৈধ হবে।
الاحالة الشرعية على المطلوب-
أخرج الإمام الترمذي في “جامعه” (٢/٢٦) عن أبي سعيد قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يتعود من الجان وعين الانسان حتى نزلت المعوذتان فلما نزلتا أخذ بهما وترك ما سواهما قال أبو عيسى هذا حديث حسن غريب
وفي “رد المحتار”(١/١٣٥) قوله الكهانه وهي تعاطى الخير عن الكائنات في المستقبل وادعاء معرفه الأسراء قال في نهايه الحديث وقد كان في العرف كهنة كشق وسطيح فمنهم من كان يزعم أن له تابعا يلقى عليه الأخبار الكائنات ومنهم أنه يعرف الأمور بمقدمات يستدل بها على موافقها من كلام من يساله أو حاله أو فعله وهذا محصونه باسم العرف كالمدعي بمعرفة المسروق ونحوه
وفي “كتاب النوازل”(١٦/٣٢٨) سوال:بالقصد عمل کے ذریعہ اپنے لیے یا غیر کے لیے غیب کی خبر چن سکتے ہیں یا نہیں جواب: عمل و غیرہ کے ذریعہ غیب کی خبریں جاننے کا شرعا کوئی اعتبار نہیں اس پر یقین کرنا یا اس کی بنیاد پر کسی کو مجرم قرار دینا ہرگز درست نہیں ہے یہ سب چیزے محض تخمینی ہوتی ہیں اور عموما غلط ثابت ہوتی ہیں اس لیے ایسی وہمی باتوں پر یقین کرنے اور عمل کرنے کی شریعت میں گنجائش نہیں ہے
وفی “فتاوی دار العلوم دیوبند”(١٦/٣٤٨) اللہ کے نام اور دعاؤں سے تعویذ کا جواز ثابت ہے مرقات شرح مشکوة میں اس کا جواز کیا ہے پس رید کا مطلقا تعویذ لکھنے اور باندھنے کو منع کرنا خلاف اجماع ہے
وفی “فتاوی قاسمیہ”(٢٣/٣٥٠) تعویذ گنڈے کے ذریعہ کسی کو چوڑ ثابت کرنا اور کسی کو ملزم قرار دینا شرعی قوانین کی خلاف ہے اور ثبوت شرعی کی بغیر کسی کے اوپر اس طرح کے الزامات کرنا گناہ کبیرہ ہے اس لیے اس سے باز رہنا لازم ہے
وفي “كتاب النوازل”(٤/٢٣٣) تعویذ اور جھاڑ پھونک پر اجرت لینا درست ہے اور ایسے شخص کے پیچھے نماز پڑھنا بھی درست ہے بشرطیکہ وہ تعویز وغیرہ میں شرکیہ الفاظ استعمال نہ کرے اور کسی دوسرے محظور شرعی کا مرتکب نہ ہو. ..انتهى، والله أعلم بالصواب