বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়:তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর, আমার বউকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে সে ভালো হয়ে যায়, আমি রাগ করে বলেছি আল্লাহর কসম আমি তাকে তালাক দিমু, তোর সাক্ষী ডাক সাক্ষীর সামনে দিমু এরকম কয়েকবার বলি, পরে ফোন কেটে দেই। আমার বউ কোন সাক্ষী আনিনি এবং আমি আর কিছু বলিনি। পরে আমার বউ বলল এরকম বললেও নাকি হয়ে যায়, তাই ভয়ে মাকে ফোন দিয়ে বলি মা আমি আমার বউকে দিয়েছি,এখন কি আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে?
নিবেদক
মুহা.জসিম
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما
সমাধান:প্রশ্নোক্ত বিবরণ যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বক্তব্য তালাক দিমু বলার কারণে আপনার স্ত্রীর উপর কোন তালাক কার্যকর হয়নি। তবে আপনার স্ত্রীর বক্তব্য “এভাবে বললেও তালাক হয়ে যায়” এভুল কথাটা বিশ্বাস করে এবং যদি এর উপর ভিত্তি করে আপনার মাকে বলে থাকেন যে আমি আমার বউকে দিয়েছি, তাহলেও কোন তালাক কার্যকর হয়নি। আর যদি তালাক দেওয়ার ইচ্ছায় আপনার মাকে কথাটা বলে থাকেন তাহলে এক তালাক রজয়ী কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে আপনি যদি স্ত্রীকে মৌখিকভাবে ফিরিয়ে নেন অথবা আপনারা যদি স্বামী- স্ত্রী সুলভ আচরণ করে থাকেন তাহলে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রয়েছে। আর যদি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই ইদ্দত শেষ হয়ে যায় তাহলে পুনরায় মোহর ধার্য করে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
الإحالة الشرعية على المطلوب
في” الدرالمختارمع رد المحتار“ (٣١٩/٣) فقال الزوج اطلاق طلاق می کنم ، فکرره ثلاثا طلقت ثلاثا بخلاف قوله، سأطلق طلاق كنم لانه استقبال فلم يكن تحقيقا بالشك
وفى” الدر المختار مع الشامي“ (3/237) لوأقر بالطلاق هازلا او كاذبا فقال في البحر إن مراده لعدم الوقوع في المسيه به عدمه ديانة تم نقل عن البزازية والقنية لو أراد به الخبر عن الماضي كذبا لايقع ديانة . وإن أشهد قبل ذلك لا يقع قضاء ايضا
وفي”الفتاوى التاتارخانية“(٣ / ٢٦١) اذا قال لها : قد طاقتك ، او قال لها انت طالق وأراد الخبر عما مضى كذبا، وسعه فيما بينه وبين الله تعالى أن يمسكها.– انتهى، والله أعلم بالصواب