বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: নাম না ধরে তালাক দেওয়া প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর, কারো নাম না ধরে ১,২,৩ তালাক দিলে তালাক পতিত হবে? তালাকপ্রাপ্ত হলে ফিরিয়ে আনার সমাধান কি??
নিবেদক
মুহা.সাইফুল ইসলাম।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নাম না নিয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে যদি ১,২,৩ তালাক বলে তাহলেও স্ত্রীর উপর তিন তালাক কার্যকর হয়ে বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে যাবে এবং স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়ে যাবে।ঐ স্ত্রীকে নিয়ে আর স্বাভাবিকভাবে ঘর-সংসার করা বৈধ হবে না। তবে যদি ঐ স্ত্রীকে নিতে চায়, তাহলে স্ত্রী তালাকের ইদ্দত শেষ করার পর অর্থাৎ ঋতুমতি হলে তিনটি ঋতু, আর গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর স্বেচ্ছায় অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং দ্বিতীয় স্বামী সহবাস করার পর যদি কোন কারণে তালাক দেয় বা মারা যায় তাহলে তার ইদ্দত শেষ হওয়ার পর পরস্পরে রাজি থাকলে নতুন ভাবে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার করতে পারবে। আর যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করা ছাড়ায় সাধারণ কথা হিসেবে ১,২,৩ তালাক বলে তাহলে স্ত্রীর উপর কোন তালাক কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য, শরীয়তের দৃষ্টিতে তালাক সাধারণ অবস্থায় খুবই অপছন্দনীয় ও গর্হীত কাজ। তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতি প্রয়োজন ছাড়া তা প্রয়োগ করা কিছুতেই বাঞ্ছনীয় নয়। যদি কখনো তালাক দিতেই হয় তাহলে পরামর্শ অনুযায়ী এক তালাকের বেশি দেওয়া উচিত নয়। তাও শান্ত পরিবেশে রাগের পরিবেশে নয়।
الإحالة الشرعية على المطلوب-
قال الله تعالى في” سورة البقرة” (230) فان طلقها فلا تحل له من بعدحتى تنكح زوجا غيره
أخرج الإمام “البخاري في صحيحه”(2/791)عن عائشة رضي الله عنهاأن رجلاطلقإمرأته ثلاثافتزوجت فطلق فسئل النبي صلى الله عليه وسلم اتحل للاول قال لا حتى تذوق عسيلتها كماذاك الأول
وفي “التاتارخانية” نوع (5/147) فإن كان الطلاق ثلاثا في الحرة أو ثنتين في الأمةلاتحل له حتی تنكح زوجا غير نكاحاصحيحا ويدخل بها ثم يطلقها أو يموت عنها
وفي”ردالمحتار”(4/458) ولا يلزم كون الإضافة صريحة في كلامه إلى قولن لوقال امرأة طالق ، أو قال طلقت أمرة ثلاثا، وقال لم أعن إمرأتي يصدق ويفهم منه . أنه لولم يقبل ذلك تطلق امرأته لأنه العادة من له امرأة إنما يحلف بطلاقها لا بطلاق غيرها .
وفي”ردالمحتار” (4/461)/ ولا يحتاج إلى نية لأن الصريح موضوع للطلاق شرعا. فكان حقيقة فيه فاستغني عن النبة
وفي”مجمع الأنهر” (1/386) ولا يحتاج إلى نية لأن الصريح موضوع للطلاق شرعا فكان حقيقة فيه فاستغني عن النبة
و في”الأشباوالنظائر” (376) لوقال لزوجته: أنت طالق طالق طالق طلقت ثلثا –
و في”امداد الفتاوی” ( ۲۴۹/۵) جواب چونکہ دل میں اپنی ہی منکوحہ کو طالق دینےکا قصد تھا، لہذا تینوں طلاقیں واقع ہو گئی ۔
انتهى، والله أعلم بالصواب