আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

তালাকের মাসআলা পড়লে স্ত্রী তালাক না হওয়া প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: তালাকের মাসআলা পড়লে স্ত্রী তালাক না হওয়া প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামুয়ালাইকুম। একদিন একটি ঘটনার জন্য আমি আমার স্বামীকে তালাক এর মাসালার ছবি ফোন এ পাঠায়।সে মাসয়ালা পরে। পরবর্তীতে বাড়িতে আসলে সে একদিন রাতে আমার সামনে ঐ মাসায়েল গুলো আমার ফোন দেখে পরতে থাকে। সেখানে কিছু লাইন ছিল তোমাকে তালাক দিলাম, তোমাকে তালাক দিতাছি বললে তালাক হয়ে যায়।এর পরে থেকে আমার মনে সন্দেহ হতে শুরু করেছে। আমার কি তালাক হয়ে গেছে?কয় তালাক হয়েছে? আমার স্বামীর সাথে সম্পর্ক হালাল আছে কিনা?এসব প্রশ্ন সব সময় মনে আসছে।কারন সেখানে প্রত্যেক লাইনে তালাক শব্দ রয়েছে।যা আমার স্বামী পড়ার সময় উচ্চারণ হয়েছে। হাদীসে আছে স্বামী তালাক শব্দ উচ্চারণ করলেই স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। আমার ও কী তায় হয়েছে? পড়ার সময় যদিও আমার স্বামীর তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় শুধু তালাকের কোনো নিয়তি লাগেনা।সে উচ্চারণ করে পরেছে।এর জন্য হয়তো তালাক হয়ে গেছি আমি। আমার কি তালাক হয়ে গেছে? দয়া করে হাদীস সহকারে সঠিক ব্যাখ্যা দিন।
নিবেদক
শাহানুর তামান্না
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামী তালাকের মাসআলাগুলো পড়ার কারণে আপনার উপর কোন তালাক কার্যকর হয়নি। কেননা তালাক কার্যকর হওয়ার জন্যে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাকের কথা বলা আবশ্যক, যা এখানে পাওয়া যায়নি। এমত অবস্থায় আপনার স্বামীর সাথে আপনার ঘর-সংসার সম্পূর্ণ বৈধ। তাই এ ব্যাপারে অহেতুক কোন ধরনের সন্দেহে নিপতিত হবেন না।
উল্লেখ্য যে, সন্দেহ একটি মারাত্মক ব্যাধি, যা সাধারণত শয়তানের কুমন্ত্রণার কারণে হয়ে থাকে। এর দ্বারা শয়তান মুমিনদেরকে চিন্তা পেরেশানিতে আবদ্ধ রাখে। এর প্রতিকারে কিছু দিক নির্দেশনা নিম্নরূপ। যথা (১)এধরনের সন্দেহের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করা।(২) বেশি বেশি জিকির করা।(৩) গুনাহ থেকে বিরত থাকা।(৪) তওবা ইস্তিগফার করা।(৫) সন্দেহ আসলেই সাথে সাথে اعوذ بالله من الشيطان الرجيم পড়তে থাকা।

الاحالة الشرعية على المطلوب-
أخرج الإمام البخاري في “صحيحه”عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله تجاوز عن أمتي ما وسوست به صدورها ما لم تعمل او تتكلم(رقم الحديث-٢٥٢٨)
وفي “فتح القدير”(٤/٤) لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول انت طالق ولا ينوي طلاقا لا تطلق
وفي “الأشباه والنظائر”(١/٩١) لو كرر مسائل الطلاق بحضرتها ويكون في كل مرة انت طالق لم يقع ولو كتب امرأتي طالق أو انت طالق وقالت له اقرأ عليها فقرأ عليها لم يقع عليها لعدم قصده
وفي “فتاوى دار العلوم دیوبند”(٩/٤١) اس واقع میں کسی صورت میں طلاق واقع نہیں ہوئی اور محض لفظ طلاق دی برسبیل تذکرہ کہنے سے جب اس کی نیت زوجہ کو طلاق دینی کی نہ ہو طلاق واقع نہیں ہوتی
وفي “فتاوى محمودیہ”(١٨/١١٨) اگر اسی طرح کہا ہے کہ فلاں شخص نے اپنی بیوی کو یہ کہا ہے کہ میں تم کو طلاق دی تو اس سے کوئی طلاق نہیں ہے..انتهى، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Scroll to Top