আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

কেনায়া শব্দের তালাক প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: কেনায়া শব্দের তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,আমি বিয়ে করেছি দুই বছর,এক বছর ধরে দ্বীনি জীবন যাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু আগের একবছরে আমি আমার স্ত্রী কে অনেক কেনায়া শব্দ বলছি, আমারা দুজনেই জেনারেল লাইনের স্টুডেন্ট,, স্ত্রীকে দ্বীনের পথে আনার জন্য অনেক সময় ঝগড়া হতো,রাগে অনেক কেনায়া শব্দ বলছি, প্রায় সময় কেনায়া শব্দ বলছি, তখন এসব শব্দ সম্পর্কে জানতাম না, তখন শুধু জানতাম তালাক বল্লে তালাক হয় তাই ঝগড়ার সময় তালাক বলা থেকে বিরত থাকতাম,, কেনায়া শব্দ জানার পর অতীত নিয়ে ওয়াস ওয়াসা আসতাছে, দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় সঠিক মনে করতে পারতাছি না কোন নিয়তে এসব কেনায়া কথা গুলো বলেছি,,,কোন কেনায়া শব্দ দ্বারা যদি তালাক হয়ে থাকে তাহলে কি বাইন তালাক পাতিত হয়েছে,, এসব কেনায়া শব্দ একাধিক বার বলায় কত তালাক পাতিত হবে আমার বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই…….? আমার কি কারণীয়…? কেনায়া শব্দ গুলো *তুমি চলে যাও * তোমার দরকার নেই *তোমার সাথে আমার সম্পর্ক নেই * স্ত্রীর অধিকার থেকে মুছে দিলাম *বাড়ি থেকে বের হও * যা তরে বিদায় দিলাম ইত্যাদি।
নিবেদক
মুহা. সজিব মিয়া
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: : প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী আপনার স্ত্রীর উপর কোন তালাক কার্যকর হয়নি। আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ আছে। কেননা কেনায়া শব্দে তালাক হওয়ার জন্য তালাকের নিয়ত থাকার বিষয়টা সুনিশ্চিত হতে হয় আপনি যেহেতু সুনিশ্চিত নন এবং পরিপূর্ণ মনে নেই তাই আপনার তালাক কার্যকর হয়নি। হাদীস শরীফে আছে, ইবনে আব্বাস রাযি: থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য ভুল,ভুলে যাওয়ার এবং যেগুলোতে তাদেরকে জোরপূর্বক বাধ্য করা হয়েছে সেগুলোর গুনাহের বোঝা উঠিয়ে দিয়েছেন।(ইবনে মাজা-১-১৪৭)।
উল্লেখ্য,তালাকের নিয়তে কেনায়া শব্দ বললে এক তালাকে বায়েন কার্যকর হয় এবং বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।পুনরায় নতুন করে বিবাহ করা ছাড়া ঘর-সংসার করা বৈধ হয় না। একবার বায়েন তালাক কার্যকর হওয়ার পর পুনরায় বিবাহ করার আগে একাধিকবার কেনায়া শব্দ বললে নতুন করে আর কোন তালাক কার্যকর হয় না।

                                 الإحالة الشرعية على المطلوب
خرج الإمام ابن ماجة في “سننه” عن ابن عباس رضي الله عن النبي صلى الله عليه وسلم إن الله وضع عن أمتي الخطا والنسيان وما استقر هوا عليه
في “رد المحتار”(4/528) والكناية لا تطلق بها قضاء إلا بنية أودلالة الحال—نحو أخرجى  واذهبي وقومي
وفي “رد المحتار”(4/551) كناية مثل اذهبي فيحتاج إلى النية فمن أين صار قرينة على إرادة الطلاق باذهبي مع أنه مذكوبعده-القرينة لابد أن تتقدم كما يعلم مما مرفي اعتدى ثلاثا— اذهبي وتزوجي لايقع الا بالنية وإن نوى فهي واحدةبائنة وفي “البحر الرائق” (3/526) أن من الكنايات عشرة لا يعتبر فيها دلالة الحال ولا تقع إلا بالنية—-اعربي اخرجي اذهبي قومي
وفي “الفتاوى الهندية”(1/443) أو قال لم يبق بيني وبينك نكاح يقع الطلاق إذنو
وفي “بدائعالصنائع”(3/199) عدم الشك من الزوج في الطلاق وهوشرط الحكم بوقوع الطلاق حتى لوشك فيه لايحكم بوقوعه
وفي” الأشباه والنظائر”(196) منها شك هل طلق أم لا لم يقع
وفی فتاوی “دار العلوم دیوبند”(9/378) جواب اگر نیت شوہر کے الفاظ مذکورہ سے طلاق بائن کی ہو تو طلاق بائنہ اس کی زوجہ پر  واقع  ہوگی ورنہ نہیں انتهى، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Scroll to Top