আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

আরবী লেখা জায়নামাযে নামায পড়া এবং আরবী লেখা জুতা পরিধান করা প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: আরবী লেখা জায়নামাযে নামায পড়া এবং আরবী লেখা জুতা পরিধান করা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর, আমি মুহাঃ আব্দুল্লাহ। একজন সাধারণ মানুষ। আমার বন্ধু সৌদি আরব থেকে এসে আমাকে একটি আরবী লেখা জায়নামায গিফট দিয়েছিলেন এবং আমার আরেক বন্ধু আমাকে একটি আরবী লেখা জুতা গিফট করেছিলেন। এখন আমার জানার বিষয় হল, উক্ত আরবী লেখা জায়নামাযে নামায পড়া এবং উক্ত লেখাযুক্ত জুতা পরিধান করা আমার জন্য বৈধ হবে কিনা? সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

নিবেদক
মুহাঃ আব্দুল্লাহ
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আরবী লেখা আল্লাহ তা‘য়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম বা কুরআন ও হাদীসের কথা কিংবা এ জাতীয় দোয়া দরূদ সম্বলিত হয়, তাহলে এরকম আরবী লেখাযুক্ত জুতা বা জায়নামায ব্যবহার করা জায়েয হবে না। কারণ এর দ্বারা আল্লাহ তা‘য়ালার ও নবীজীর নাম এবং কুরআন ও হাদীসের অবমাননা হয়। তবে এগুলো ছাড়া মানুষের কথা জাতীয় আরবী লেখাযুক্ত জুতা বা জায়নামায ব্যবহার করা জায়েয আছে। কিন্তু লেখাযুক্ত জুতা ব্যবহার না করাই উত্তম, বিশেষকরে আরবী ভাষার লেখাযুক্ত জুতা। কেনানা আরবী ভাষা অন্যান্য ভাষার তুলনায় অধিক সম্মানের অধিকারী।

الاحالة الشرعية على المطلوب
في”الدر المختار”(1/356) بساط أو غيره كتب عليه “الملك الله” يكره بسطه واستعماله لا تعليقه للزينة و ينبغي أن لا يكره كلام الناس مطلقا ‘وقيل يكره مجرد الحروف والأول أوسع وتمامه في البحر وكراهية وتكره كتابة القرآن وأسماء الله تعالى على الدرهم والمحاريب والجدران وما يفرش
وفي”الهندية”(5/374) بساط أو مصلى كتب عليه “الملك الله” يكره بسطه والمعقود عليه واستعماله وعلى هذا قالوا لا يجوز أن يتخذ قطعة بياض مكتوب عليه إسم الله تعالى علامة فيما بين الأوراق لما فيه من الابتذال بإسم الله تعالى ‘ ولو قطع الحروف من الحرف أو خيط على بعض الحروف في البساط أو المصلى حتى لم تبقى الكلمة متصلة‘ لم تسقط الكراهة وكذالك لو كان عليهما الملك لا غير وكذالك الألف وحدها واللام وحدها كذا في الكبرى إذا كانت إسم فرعون أو كتب أبو جهل على غرض يكره أن يرموا إليه لأن لتلك الحروف حرمة
وفي”الموسوعة الفقهية الكويتية”(34/181) وقال ابن عابدين من الحنفية نقلوا عندنا أن الحروف حرمة ولو مقطعة وذكر بعض القراء أن الحروف الهجاء قرآن أنزلت على هود عليه السلام ومفاده حرمة بالمكتوب مطلقا
وفي” فتاوى دار العلوم زكريا”(7/819) الجواب: بصورت مسئولہ بے  ادبی سے بچنے کیلئے فقط لفظ اللہ کا مٹانا کافی نہیں ہے، بلکہ اکبر کو بھی مٹادیا جائے جیساکہ فقہا‌‎ء نےلکھا لے کہ اگر کسی جائے نماز پر الملک اللہ لکھا ہو اور اس میں سے للہ کو مٹادیا جائے اور الملک باقی ہو تو یہ کافی نہیں
و في”کتاب النوازل”(15/43) الجواب: گل کے ڈبہ پر اللہ تعالی کا نام لکھنا بے ادبی ہے بہتر یہ ہے کہ ناپاکی  کی حالت میں لفظ اللہ پر ہاتھ نہ رکھا جائے اور اس بارے میں احتیاط برتی جائے. انتهى ، والله أعلم بالصواب.

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

শেয়ার করুন !!
Scroll to Top