আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

সম্মিলিতভাবে জিকির করা যাবে কি?

শেয়ার করুন !!

প্রশ্নঃ সম্মিলিতভাবে জিকির করা যাবে কি?
প্রশ্নকারীঃ মোঃ দেলোয়ার হোসাইন।

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم ،نحمده ونصلي على رسوله الكريم
বিশুদ্ধতম মত অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে উঁচু আওয়াজে জিকির বৈধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে ।

শর্তগুলো হলোঃ
(1) লোক দেখানোর উদ্দেশ্য থেকে মুক্ত হওয়া।
(2) অন্যের ইবাদতে বিঘ্নতা না ঘটানো অর্থাৎ এত উঁচু আওয়াজে জিকির করা জায়েজ নয় যাতে কোন ব্যক্তির নামাজ বা কোন ইবাদতে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে।
(3) কারো ঘুম বা বিশ্রামে সমস্যা না হওয়া।
(4) আওয়াজ স্বাভাবিক হওয়া। অতিরিক্ত উঁচু আওয়াজ না হওয়া।
(5) সহি শুদ্ধভাবে জিকির করা। জিকিরের শব্দ উচ্চারণে লাহনে জালি থেকে বেঁচে থাকা।

যদি সবগুলো শর্তই পাওয়া যায় তাহলে সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে জিকির করা বৈধ হবে। কারণ একাকী ও সম্মিলিত জিকির উভয়টি শরীয়তে অনুমোদিত ।হাদিসে এসেছে, বান্দা যদি একাকী আমার জিকির করে তাহলে আমি গোপনে তাকে স্মরণ করি। আর সে যদি কোন মজলিসে আমার জিকির করে তাহলে আমি তার চেয়ে উত্তম মজলিসে তার আলোচনা করি ।(সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৭৪০৫ )

ইমাম সুয়ূতি (রহ) বলেন, জামাতে জিকির করলে আওয়াজ তো হবেই। আল হাবী লিল ফতাওয়া, (২/১২৯) তবে বৈধতার জন্য উপরোক্ত শর্তগুলি পাওয়া যাওয়া অত্যাবশ্যক। কোন একটি শর্ত যদি প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পাওয়া না যায় তাহলে তা বৈধ হবে না বরং এ ধরনের জিকিরের কারণে গুনাহ হবে।

في “حاشية طحطاوي على الدر”(٣١٨) قال في الفتاوى لا يمنع من الجهر بالذكر في المساجد احترازا عن الدخول تحت قوله تعالى” ومن اظلم ممن منع مساجد الله ان يذكر فيها اسمه”… واجمع العلماء سلفا وخلفا على استحباب ذكر الله تعالى جماعة في المساجد وغيرها من غير نكير الا ان يشوس جهرهم بالذكر على نائم او مصل او قارئ قران كما هو مقرر في كتب الفقه،

আরো দেখুন , রদ্দুর মুহতার (১/৬৬০) ইমদাদুল ফাতাওয়া (৫/১৫১) ।

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী, ফতোয়া বিভাগ, আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ – পোরশা, নওগাঁ ।


শেয়ার করুন !!
Scroll to Top