আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

মদ বা গাজা খাওয়ার হুকুম কি? যদিও মদ বা গাঁজা সেবনকারী মাতাল না হয়।

প্রশ্নঃ মদ বা গাজা খাওয়ার হুকুম কি? যদিও মদ বা গাঁজা সেবনকারী মাতাল না হয়!
প্রশ্নকারীঃ মির্জা ফাহিম

بسم الله الرحمن الرحيم ،نحمده ونصلي على رسوله الكريم

উত্তরঃ মদ, গাঁজা ও যে কোন মাদক দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম ও মারাত্মক কবীরা গুনাহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি ও লটারির তীর এগুলো নাপাক ও গর্হিত বিষয়, শয়তানের কাজ।এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকো। তাহলেই তোমরা সফলকাম হতে পারবে ।(সূরা মায়েদা, আয়াত নং ৯০)

সাহাবী আবুদ দারদা (রাদিঃ)কে নবীজী ওসিয়ত করেছেন, তুমি মদ পান করো না। কারণ তা সকল অনিষ্ট ও অকল্যাণের চাবিকাঠি। (ইবনে মাজা, হাদিস নং ৩৪৩৪) আরেকটি হাদিসে এসেছে, নবীজি বলেন, প্রত্যেক নেশাকর বস্তু মদ আর প্রত্যেক নেশাকর বস্তুই হারাম। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ২০০৩)

আর মদ খেয়ে কেউ যদি মাতাল হয়ে যায় তাহলে তার অজুও থাকেনা এবং ঐ অবস্থায় তার জন্য নামাজ পড়াও বৈধ হয় না ।তবে যদি কেউ মাতাল না হয় অথবা মাতাল হলেও মাতলামী ও নেশাগ্রস্থতা চলে যাওয়ার পর নামাজ আদায় করে এবং নামাজ ভঙ্গের অন্য কোন কারণ পাওয়া না যায় তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ নামাজের দায়িত্ব থেকে সে দায়মুক্ত হবে। আখেরাতে নামাজ ছেড়ে দেওয়ার গুনাহে গুনাহগার হবে না।

তবে নামাজ পড়ার কারণে যে সওয়াব হয় ঐ সওয়াব থেকে সে বঞ্চিত হবে। কারণ হাদিসে এসেছে, মদ পান করে কেউ নেশাগ্রস্ত হলে তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না। (অর্থাৎ নামাজের সোয়াব সে পায় না।) এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তবে যদি সে খাঁটি দিলে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৪০)

উল্লেখ্য, মদ পান করে নামাজ পড়লে সওয়াব হয় না মনে করে যদি কেউ নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে সে আরো মারাত্মক গুনাগার হবে। একটি মদ পানের গুনাহ। আরেকটি নামাজ ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ।

قال الله تعالى” يا ايها الذين امنوا انما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان فاجتنبوه لعلكم تفلحون”( سورة المائدة -٩) (2)واخرج الامام ابن ماجه في سننه رقم الحديث (٣٤٣٤) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم “لا تشرب الخمر فانها مفتاح كل شر” (3)واخرج الامام مسلم في صحيحه، رقم الحديث(٢٠٠٣) كل مسكر خمر وكل مسكر حرام (4) واخرج الامام الترمذى في سننه، رقم الحديث (١٨٦٢)

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من شرب الخمر لم يقبل الله له الصلاه اربعين صباحا ، (قال القاري في المرقاة “والمعنى لم يكن له ثواب وان بري الذمة وسقط القضاء باداء اركانه مع شرائطه (5) و في “فتوی عباد الرحمن” شراب پینا تو ہر صورت میں حرام ہے اور اس کی وجہ سے نماز چھوڑنا دہرا گناہ ہے، کیونکہ ایک گناہ شراب پینے کا اور دوسرا گناہ نماز چھوڑنے کا ،تاہم اگر شراب پی کر اپ کو نشہ نہ اتا ہو تو اپ بے شک نماز پڑھ سکتی اور اگر نشہ اتا ہو تو نشے کی حالت میں نماز پڑھنا جائز نہیں، لیکن اس سے شراب ہر صورت میں حرام ہے

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী, ফতোয়া বিভাগ, আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ – পোরশা, নওগাঁ ।

Scroll to Top