আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

কারো প্রশ্নে বউকে তালাক দিয়েছি বললে, তালাক হয়ে যাবে কী

শেয়ার করুন !!

বিষয়: তালাক প্রসঙ্গে।

  প্রশ্ন: আমার প্রশ্নটি হচ্ছে, আমি একদিন আমাদের গ্রামের দোকানে রাতে বসে ছিলাম। আমার সাথে আমার এক বন্ধু বসেছিল, সে ‍বিবাহিত। ইতিমধ্যে আরেকজন লোক এসে আমার সেই বিবাহিত বন্ধুকে বলল, তুই এত রাতে দোকানে বসে আছিস, তুই কি তোর স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এসেছিস? তৎক্ষনাৎ আমার বিবাহিত বন্ধু তাকে উত্তর দেয়, হ্যাঁ, দিয়ে এসেছি। আসলেই সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়নি। কিন্তু তার কথার উত্তর দেওয়ার জন্য রাগ করে এভাবে বলেছে যে, হ্যাঁ দিয়েছি। এখন আমার জানার বিষয় হল, তার এই কথার দ্বারা কি তার স্ত্রী তালাক হবে? আমি একজন মুফতী সাহেব কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি বলেছিলেন, এক তালাক হয়ে যাবে। আশা করি সঠিক উত্তর ‍দিয়ে বাধিত করবেন ইনশাআল্লাহ।

নিবেদক-
মুহাঃ মিজানুর রহমান

                         بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-

   সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মুফতি সাহেবের কথা সঠিক। আপনার বন্ধুর স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী কার্যকর হয়েছে। কেননা তালাকের ক্ষেত্রে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলেও তালাক কার্যকর হয়ে যায়। এখন যদি স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে স্ত্রীর ইদ্দতের মধ্যে অর্থাৎ স্ত্রী ঋতুমতী হলে তিনটি ঋতু আর গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব করার পূর্বেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করতে হবে। অথবা স্ত্রীর সাথে স্বামী স্ত্রী সূলভ আচরণ করলেও পূর্বের স্ত্রী হিসেবে বহাল হয়ে যাবে। তবে ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে নতুনভাবে মহর ধার্য করে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ করতে হবে। তবে স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হোক বা ইদ্দত শেষে ফিরিয়ে নেওয়া হোক, উভয় অবস্থায় স্বামী কেবলমাত্র দুই তালাকের অধিকারী হবে। তাই পরে কখনো ঐ স্ত্রীকে দুই তালাক দিলেই সে (স্ত্রী) সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এভাবে পুনরায় বিবাহ করলেও ঘর-সংসার করা বৈধ হবে না।

      উল্লেখ্য, শরীয়তের দৃষ্টিতে তালাক খুবই অপছন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতি প্রয়োজন ছাড়া তা প্রয়োগ করা কিছুতেই বাঞ্চনীয় নয়। যদি কখনো তালাক দিতেই হয়, তাহলে পরার্মশ অনুযায়ী এক তালাকের বেশি দেওয়া উচিত নয়। তাও শান্ত পরিবেশে রাগের পরিবেশে নয়।

  • الاحالة الشرعية على المطلوب
  • وفى “رد المحتار” (4/428) ولو اقر بالطلاق كاذبا او هازلا وقع قضاء لاديانة**……………………………………….
  • وفي” الدر المختار”(4/427) ويقع طلاق كل زوج بالغ عاقل ولو عبدا أو مكرها أو هازلا**…………………………..
  • وفي”حاشية الطحطاوي على الدر المختار”(2/113) الإقرار بالطلاق كاذبا يقع به قضاء لا ديانة.**………………….
  • وفى “المبسوط للسرخسى”(4/109) ان من اقر بطلاق سابق يكون ذالك ايقاعا منه فى الحال لأن من ضرورة الاستناد الوقوع فى الحال وهو مالك للايقاع غير مالك** للاستناد……………………………………………………………
  • و في”البحر الرائق”() ولو أقر بالطلاق وهو كاذب وقع في القضاء إذا اردت به الخبر عن الماضي كذبا و إن لم يرد به الخبر عن الماضي أو اراد به الكذب أو الهزل وقع قضاء وديانة………………………………………………….
  • و في”بدائع الصنائع”(3/283) فإن طلقها ولم يراجعها بل تركها حتى انقضت عدتها بانت…………………………
  • وفي”دار العلوم ديوبند”(9/51) السوال: استفہام اور خبر کاذب سے طلاق واقع ہو جاتی ہے ، یا نہیں مثلا کسی نے ایک شخص سے کہا ، کیا تم نے اپنے زوجہ کو طلاق دی ہے؟ اس نے کہا دی ہے،الجواب : استفہام کے جواب میں یہ کہنے سے کہ ہاں دی ہے،یا جھوٹ کہدینے سے کہ ہاں دی ہے طلاق واقع ہو جاتی ہے………
  • وفي”احسن الفتاوی”(5/152) پہلی بار سوال کے جواب میں جب اقرار کیا تو بصورت کذب صرف قضاء اور بصورت صدق دیانۃ بھی طلاق واقع ہو جاۓگی.انتهى والله أعلم بالصواب………………………………………………………………………………….

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।


শেয়ার করুন !!

উন্নয়ন বিভাগ - জামি'আ

Scroll to Top