প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম।
১.কোনো একটা কারণে আমার স্বামী আমাকে বলেছিলো…….. “এই একটা কারনে তোমাকে আমি স্ত্রী হিসেবে গন্য নাহ করা জায়েজ” এটা স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তাহলে তাদের সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে কিনা বা তালাক হয়ে যায় কিনা?
২.তার কিছু দিন পর আবার কথা কাটাকাটি লেগে কয়েক বার বলেছিল আজকে আমি এমন কিছু একটা করে ফেলবো তাতে তুমি চোখের পানি ফেলবে,। তার কিছু সময় পর তিনি এটা বললেন, “শোনো আমি আজকে এই এখন তোমাকে” তোমাকে বলার পর আর কিছু বলেনি,, তার পর আমি যখন বললাম তুমি আমাকে তালাক দিয়েদিছো। ওনি বললেন যা হইছে তোমাদের কারণে ই হইছে।তার পর আবার ওনি বললো তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছি এটা,তাছাড়া আমি তো তালাক কথা টা লেখিওনি। এখন কি আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে? ( আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি এগুলো সব মেসেজের মাধ্যমেই হয়েছে,,
আমি শারিরীক ভাবে অসুস্থ ওনারা আমাকে ওনাকে সেটেল করে দেওয়া ছাড়া মানতেছেনা।আমার বাবা নেই, আমার আম্মা বলতেছে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে ওনারা সেটা কিছুতেই মানে না, সে জন্য ই আমাদের মাঝে এগুলি নিয়ে জামেলা লেগেই থাকে)।
প্রশ্নকারীঃ আয়শা আক্তার ।
بسم الله الرحمن الرحيم، حامدا، و مصليا، و مسلما.
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত বিবরণ যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল আছে; ডিভোর্স হয়নি। কারণ প্রশ্নোক্ত দুটি ঘটনার কোনটির মধ্যেই তালাক কার্যকর হওয়ার মত কোন শব্দ বা কথা পাওয়া যায়নি। তবে এধরণের কথা বলার ক্ষেত্রে আবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
উল্লেখ্য, শরীয়তের দৃষ্টিতে তালাক খুবই অপছন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতি প্রয়োজন ছাড়া তা প্রয়োগ করা কিছুতেই বাঞ্ছনীয় নয়। যদি কখনো তালাক দিতেই হয় তাহলে পরামর্শ অনুযায়ী এক তালাকের বেশি দেওয়া উচিত নয়। তাও শান্ত পরিবেশে রাগের পরিবেশে নয়।
الإحالة الشرعية علي المطلوب
** وفي “التاتار خانيىة” (৪॥৩৭৭) أما ركن الطلاق فهو هذه اللفظة الصادرة من الزوج-১
** وفي ” الدرالمختار” (৪॥৪২৪) رفع قيد النكاح في الحال بالبائن أو المال بالرجعى بلفظ مخصوص هو مااشتمل على الطلاق-২
** وفي ” البحرالرائق ” (৩॥৪১০) قولنا رفع قيد النكاح حالا أو مالا بلفظ مخصوص – وراجع أيضا الهند ية (৩॥৪১৫) والتبيين الحقائق (৩॥২০) والله اعلم بالصواب-৩
ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী, ফতোয়া বিভাগ, আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ – পোরশা, নওগাঁ ।