আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

হারাম পন্থায় টাকা অর্জন করলে করণীয় প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: কেউ যদি হারাম টাকায় অনেক কিছু করে, তারপর যদি সে বুঝতে পারে সে হারাম পন্থায় এত কিছু করেছে, তাহলে এখন তার করণীয় কি?
প্রশ্ন: মূলত হচ্ছে সে বিভিন্ন প্রকার হ্যাকিং বা এই ধরনের বিভিন্ন এলিগ্যাল কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করেছে তারপর কয়েক বছর কেটে গেল তখন তার মনে হলো যে অনেক গুনাহ করেছি। এরপর সে কিভাবে ভালো হবে, লোকটি যেভাবে টাকা উপার্জন করেছে সেভাবে সেই টাকাটা ফেরত দেওয়া অসম্ভব। সেই টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়া আর সম্ভব নয়। আর সেই টাকাগুলো যে সে অনেক কিছু করেছে, বাড়িঘর অনেক কিছু করেছে এখন তার করনীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মুহা. আব্দুল্লাহ
০১৭০৬-৩৩৮৩৯৭

بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: অবৈধভাবে কোন সম্পদ অর্জিত হলে সেক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হল, যদি তা মূল ওয়ারিশের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে তাদের কাছে ফেরত দেওয়া জরুরী। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়াই মূল মালিকের পক্ষ থেকে তা গরীব মিছকিনদেরকে সদকা করে দিতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের পরিমাণ আনুমানিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। এরপর বাস্তবেই যদি মূল মালিকদের কাছে সম্পদগুলো ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে তা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়াই গরীব মিছকিনদের মাঝে সদকা করতে হবে। হারাম সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় যদি তা এক সাথে সদকা করতে সক্ষম না হয়, তাহলে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু কিছু করে সদকা করতে থাকবে। আর উক্ত হারাম সম্পদ দ্বারা যদি বাসা-বাড়ি বা অন্য কোন পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে থাকে, তাহলে সেগুলোর মূল্যও হিসেব করে সদকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি নিজের এই গুনাহের জন্য আল্লাহ তা আলার কাছে খাঁটি দিলে তওবা করতে হবে।

الاحالة الشرعية على المطلوب
في” فتاوى قاضيخان” (9/290) رجل مات وكسبه من بيع الباذق ‘ قالوا: إن تورع الورثة عن أخذ ذلك المال كان أولى‘ فإنى عرفوا أربابها ردوها على أربابها لأن لايخلو عن نوع خبث‘ وإن لم يعرفوا أربابها تصدقوا بها‘ لأن هذا المال حصل بسبب خبث‘ فكان سبيله التصدق إذا عجز عن الرد إلى صاحبه وكذلك الحكم فيما أخذ رسوة أو ظلما
وفي” رد المحتار “(7/306) قوله: ( إلا في حق الوارث الخ) …..والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم‘ وإلا فإن علم عين الحرام لا يحل له ويتصدق به بنية صاحبه
وفيه أيضا (9/554) (إلا إذا علم ربه) أي رب المال فيجب على الوارث رده على صاحبه (وهو حرام مطلقا على الورثة) أي سواء علموا أربابه أولا‘ فإن علموا أربابه ردوه عليهم‘ وإلا تصدقوا له كما قدمناه
وفي” تبيين الحقائق” (7/60) وعلى هذا قالوا: لو مات رجل وكسبه من بيع الباذق أو الظلم أو أخذ الرشوة يتورع الورثة ولا يأخذوا منه شيئا وهوأولى لهم ويردونها إلى أربابها إن عرفوهم‘ وإلا تصدقوا بها سبيل الكسب الخبيث التصدق إذا تعذر الرد على صاحبه
وفی” فتاوی عبادر الرحمن ” (7/287) جواب: ورد کی رقم چونکہ مال حرام ہے اور ورثاء کو اس مال حرام کی مقدار کے بارے میں علم بھی ہے، لہذا ان کے حق میں سود کی رقم کو استعمال میں لانا شرعا جائز نہیں بلکہ ان کو چاہیے کہ ہر ایک کے حصہ میں جتنی سود کی رقم آتی ہواتنی ہی رقم مساکین پر صدقہ کردیں اور باقی رقم ورثاء اپنے استعمال میں لائیں
وفی ” امداد الفتاوی ” (9/106) سوال: رنڈی جواری، دغا بازاعنی کسب حرام والے تائب ہو کر اگر چاہیں کہ اپنے مال کو خداکی راہ میں صرف کریں تو اس کی کیا صورت ہے؟ اگر خداکی راہ میں صرف نا جائز ہو تو کیا کرے  جلاڈالے ، ڈبادے ؟ اور کوئی شرعی حیلہ حلال کر نے کاہے یہ نہیں؟ الجواب: وہ مال حرام رہتا ہے ، جو لوگ فق
ر وفاقہ  سے بہت پریشان ہو ایسو کو وہ مال بہ نیت رفع حاجت دینا چاہئے ، نہ بہ نیت حصول ثواب اور اگر وہ شخص جس نے وہ مال  ان لوگوں کا حاصل ہوا ہے وہ بالتعیین وبالتخصیص معلوم  ہو تو اس کو واپس کر دینا چاہئے
و راجع أيضا في” فتاوى محمودية”(29/505) وفي” فتاوى قاسمية” (24/318) إنتهى ، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

Scroll to Top