স্ত্রী কতৃক তালকের বিধান প্রসঙ্গে।

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ,বাংলাদেশ।
বিষয়: স্ত্রী কতৃক তালকের বিধান প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার স্ত্রী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে তিনবার তালাক লিখে মেসেজ করেছে। এখন উক্ত তালাক কি পতিত হয়ে যাবে? উক্ত বিষয় আমাদের করণীয় কি আমি জানতে চাইতেছি। আমরা একে অপরকে অনেক মহব্বত করি। সামান্য একটু রাগারাগির কারণে এমনটি হয়েছে। প্লিজ! আমাদের একটু সাহায্য করুন।
উল্লেখ্য, স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদান করেনি।                                                                                                                                                                                নিবেদক
মেহরাজ হোসাইন
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনি যেহেতু আপনার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদান করেননি, তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোন তালাকও কার্যকর হয়নি। আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুর্বের ন্যায় বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, শরিয়তের দৃষ্টিতে সাধারণ অবস্থায় তালাক অপছন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। হাসি-মজাক করে বা রাগের সময় তালাক শব্দ পরিহার করা উচিত।

الإحالة الشرعية على المطلوب
في “الكنز مع البحر”(٣\٤٤٦) ويقعد طلاق كل زوج عاقل بالغ لصدوره من اهله الى محله
وفي “الدر المختار”(٤\٤٣١) ومحله المنكوحة واهله زوج عاقل بالغ مستيقظ
وفي “الهندية”(١\٤٢٠) يقع طلاق كل زوج اذا كان بالغا عاقلا
وفي “البحر الرائق”(٣\٣١٠) لما فرغ من بيان ما  يوقعه الزوج بنفسه صريحا وكناية شرع فيما يوقعه غير باذنه وهو ثلاثة عنوان تفويض وتوكيل ورسالة
** وفي “البدائع الصنائع”(٣\١١٣) اما بيان صفته هو فهو انه لازم من جانب الزوج حتى لا يملك الرجوع عنه
فی “فتاوی دار العلوم دیوبند” (٩\٤٢) الجواب: طلاق کا اختیار شریعت سے مرد کو ہی دیا گیا ہے ؛عورت کو یہ اختیار نہیں دیا گیا؛ حدیث “الطلاق لمن اخذ بالساق” وغیرہ اس پر شاہد ہے—–انتهي والله اعلم بالصواب