বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম, মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর। আমার স্ত্রী অনেক সময় মিথ্যা কথা বলতো,তাকে অনেক বোঝানোর পরও সে মিথ্যা কথা বলে। তাই আমি তাকে তালাকের শর্ত দিতে চাইছিলাম।তাকে বলেছি যে, তুমি মিথ্যা কথা বললে তালাকের শর্ত দিব। এক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে? ভবিষ্যতে শর্ত দিব বলেছি তখনও দেয়নি। পরক্ষণে আমার মনে হল যে, এই তালাকের শর্ত দেওয়া উচিত হবে না তাই তালাকের শর্ত দেয়নি ।কিন্তু সে যেন মনে করে আমি তালাকের শর্ত দিয়েছি। সেজন্য অন্য একটা কথা বলি, কথাটা বলার আগে আলাদাভাবে তিনটা কথা লিখে রাখি। (১) এটা তালাকের কথা বলিনি। (২)এটা তালাকের শর্ত দেইনি।(৩) এটা তালাকের শর্ত না। এটা লিখে রাখলাম এজন্য যে, যদি আমার স্ত্রী মনে করে মিথ্যার কারণে তালাক হয়ে গেছে তাহলে আমি তাকে এটা দেখাতে পারি। যে দেখো, তালাক হয় নাই কারণ ওটা তালাকের শর্ত ছিল না। তারপর আমি বউকে বলি “তুমি যদি মিথ্যা বলো তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে বা মিথ্যা বললে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে”। এটা বলার কারণ তাকে শাসন করা বা ভয় দেখানো। উক্ত কথা বলার সময় তালাকের ইচ্ছা বা নিয়ত কিছুই ছিল না ।এখন জানার বিষয় হলো, একথা বলার দ্বারা কি আমার স্ত্রীর ওপর তালাক কার্যকর হবে?জানিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মুহা.সাকিব আহমেদ
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما
সমাধান: প্রশ্নোক্ত কথাটি বলার সময় বাস্তবেই যদি আপনার তালাকের নিয়ত না থাকে বরং তাকে শাসন বা ভয় দেখানো উদ্দেশ্যে বলে থাকেন তাহলে আপনার স্ত্রী মিথ্যা কথা বললেও তার ওপর তালাক কার্যকর হবে না। কারণ, শর্তযুক্ত কেনায়া তালাকের জন্য তালাকের নিয়ত জরুরি। যা এখানে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য,মিথ্যা কথা বলা মারাত্মক কবিরা গুনাহ।এ থেকে বিরত রাখার জন্য আপনার স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই কোরআন ও হাদিস থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী নসিহত জারি রাখবেন।তবে এর জন্য তালাকের মাধ্যমে ভয় দেখানো উচিত নয়।
الإحالة الشرعية على المطلوب
أخرج المصنف لإبن أبي شيبة (٩/٦٦٠)عن الحسن في الرجل قال لامرأته اخرجي. اذهبي.لا حاجة لي فيك فهي تطليقة ان نوى الطلاق (١٨٢٩٢)
وفي”تنوير الأبصار”(٤/٥١٦) (ف) الكنايات (لا تطلق بها) قضاء (الا بنية أو دلالة الحال)
وفي” الشامي” (٤/٥١٦) قوله ( قضاء )قيد به. لإنه يقع ديانة بدون النية
وفي”الهندية”(١/٤٤٢) الفصل الخامس: في الكنايات لا يقع بها الطلاق الا بنية أو بدلالة حال
وفي”بدائع الصنائع” (٤/٢٨١) كل لفظ يستعمل في الطلاق ويستعمل في غيره نحو قوله أنت بائن.قومي. اخرجي… انطلقي.. وإذا احتملت هذه الالفاظ طلاق غير الطلاق فقد استتر المراد منها عند السامع فافتقرت الى النية لتعيين المراد
وفي “النوازل” (١٧/٦٨٨)الجواب: چلےجا .. یہاں سے نکل جا.. ان تمام الفاظ میں سے کسی سے بھی اگر شوہر کی نیت طلاق کی تھی تو طلاق بائن واقع ہوگی بغیر نکاح کئ ہوئی بیوی حلال نہیں ہو سکتی اور اگر طلاق کی نیت نہیں تھی تو طلاق واقع نہیں ہوئی..انتهى، والله أعلم بالصواب