আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

নামাযের কেরাত প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: নামাযের কেরাত প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমি একজন মাদরাসার ছাত্র। আমাদের মসজিদে ইমামের তেলাওয়াত একেবারেই অশুদ্ধ। তো এখানে আমার কয়েকটি বিষয় জানার আছে। তা হলো, ক) আমি কি তার পিছনে ইকতিদা করতে পারবো? যদি ইকতিদা করি তাহলে তার হুকুম কি হবে? নামায হবে কি হবে না? যদি নামায না হয় তাহলে ইতিপূর্বে যেগুলো পড়েছি তার হুকুম কি হবে? খ) আমি কি বাসায় নামায পড়বো নাকি মসজিদে? যদি বাসায় নামায পড়ি তাহলে কি নামায হবে? গ) এখানে সবাই সাধারণ মানুষ। এই এলাকাই কোন আলেম নাই। অনেকে অনেক কথা বলতে পারে এই ভেবে যদি আমি ঐ ইমামের পিছনে তার ইকতিদা করা ছাড়া ঐ ফরজ নামায আদায় করি যার জামাত চলতেছে বা কোন নফল নামায আদায় করি, ( এটা শুধু মানুষ দেখলো যে আমি জামাতে নামায পড়েছি কিন্তু আমি মনে মনে ইমামের ইকতিদা করি নাই) তাহলে তার হুকুম কি হবে? বিস্তারিতভাবে জানালে খুব উপকৃত হতাম।
বি:দ্র: আমার এইভাবে প্রশ্ন করার কারণ হল, আমি বেশ কিছু হুজুরের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি একেকজনের কাছে একেকভাবে শুনেছি, আর এটা শুধু আমাদের এখানেই নয় অনেক জায়গার সমস্যা। তাই দয়া করে বিস্তারিতভাবে জানাবেন এই বলে আশা রাখছি।
নিবেদক
মুহা: মামুনুল হক।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ইমামের কেরাত যদি এই পরিমাণ ভুল হয় যার কারণে অর্থে তেমন বিকৃতি হয় না এবং অর্থও সাংঘর্ষিক হয় না তাহলে উক্ত ভুলের কারণে নামায নষ্ট হবে না। তার পিছনে ইকতিদা করা সহীহ হবে। আর যদি ভুল এই পরিমাণ হয় যার কারণে অর্থ বিকৃতি হয়ে যায় এবং সাংঘর্ষিক অর্থও সৃষ্টি হয় তাহলে উক্ত ইমামের পিছনে শুদ্ধ তেলাওয়াতকারী ব্যক্তির ইকতিদা করে নামায পড়লে নামাযই সহীহ হবে না। সুতরাং আপনার তেলাওয়াত যদি শুদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে এধরনের ইমামের পিছনে আপনি ইকতিদা করতে পারবেন না। ইকতিদা করে নামায পড়লেও তা সহীহ হবে না। এক্ষেত্রে করণীয় হল, ইমামের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে নিজে নামায পড়ানোর চেষ্টা করা। এটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করা। বিনা কারণে বাসায় নামায আদায় করলে যদিও নামায সহীহ হবে এবং নামাযের ফরজ দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে কিন্তু জামাতের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। আর নিয়মিত এরকম করলে জামাত ছেড়ে দেওয়ার কারণে গুনাহ হবে। তাই বাসায় নামায না পড়ে পার্শ্ববর্তী মসজিদে  জামাতের সাথে নামায আদায় করতে হবে। আর প্রশ্নের তিন নং অংশে যে পদ্ধতির কথা বলেছেন উক্ত পদ্ধতিতে নামায পড়লে তা মাকরুহ হবে। কেননা ইমামের ইকতিদা করা ছাড়া তার পিছনে নামায পড়া মাকরুহ।

الاحالة الشرعية على المطلوب
في”فتح القدير” (1/327) إذا صلى أمي بقوم يقرون وبقوم أميين فصلاتهم فاسدة عند أبى حنيفة
وفي”مجمع الأنهر”(1/145) وإن اقتدا أمي وقارى بامي فسدت صلوة الكل
وفى فتاوى”سراجية”( 15) اتزوج امامة الأمى لقوم أمى جائزة ولو كان خلقه قارى فصلواة الكل فاسدة.-
وفى “رد المحتار”(2/511) وأشد كراهة أن يصليها مخالطا للصف مخالفا للجماعت
وفى”الهندية”(1/116) إذا كان امامه لحانا لابأس بأن يترك مسجده ويطوف
وفی  امداد الاحکام(2/128)    غلط خواں امام کے پیجھے صحیح  قرآن پڑھنے والے کی نماز بعض صورتوں میں فاسد ہو جاتی ہے اسلئے بہتر تو یہ ہے کہ اگر فاسد نہ ہو تو ‏ غلط خواں امام کو امامت سے الگ کر کے صحیح  خوا      ں امام مقرر کیا  جائے  اگر  اسمیں فتنہ کا احتمال ہوتوصحیح قرآن پڑھنے والے غلط خواں کی اقتدا  نہ کرے بلکہ مسجد محلہ کو چھوڑ  کر کسی صحیح خوا ں امام کی اقتدا کرے
وفی فتاوی  قاسمیہ ( 6/604) اگر تلفظ میں ایسی غلطی واقع ہو جاتی ہے کہ جس سے معنی بغر جاتے ہیں تو اسکے پیچھے ان لوگوں کی نماز نہیں ہوتی جولوگ تین آیات یا اس سے زیادہ  صحیح خواں ہیں
وفی فتاوی محمودیہ (10/337) جوشخص قرآن غلط  پرھتا ہے جس سے کہ معنی خراب ہوجاتے ہیں اور صحیح نہیں پڑھ سکتا اسکی امامت نا جائز ہے.-انتهى ، والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

শেয়ার করুন !!
Scroll to Top