বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমি অনেক দিন ধরে খুব পেরেশানিতে আছি। আমাকে একটু দয়া করে সাহায্য করুন। আমি আপনার কাছে মাসআলার উত্তর পাইছি। তালাক ও জিহারের ওয়াসওয়াসা এই প্রশ্ন টা আমার। আলহামদুলিল্লাহ আপনি উত্তর দিছেন। যে সব ওয়াসওয়াসা। আমি একদিন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ঠোঁট না খুলে শুধু জিহবা নাড়িয়ে বলছি তুমি (স্ত্রী) যদি বেপর্দায় বাড়ি থেকে বের হও, তাহলে তোমার আর আমার মধ্যকার সম্পর্ক শেষ হবে। তো আপনি উওর দিছেন যে কোন তালাক হয়নি। তো সমস্যা টা হলো আমি একদিন এক মুফতি সাহেবকে বলছিলাম যে, আমি একদিন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছি তুমি যদি বেপর্দায় বাড়ি থেকে বের হও, তাহলে তোমার আর আমার মধ্যকার সম্পর্ক শেষ হবে। মানে আমি যে ঠোঁট না খুলে শুধু জিহবা নাড়িয়ে বলছি তা আর বলি নাই। এই কারণে কি কোনো তালাক হবে? আমি এটা বলছিলাম এই কারনে যে, এটা যদি সরাসরি বললেও তালাক না হয় তাহলে তো আমার আর কোন টেনশন থাকবে না। তাই আমি মুফতি সাহেবকে বলছিলাম। আমি মোট ২ জন মুফতি সাহেবকে এইভাবে বলেছিলাম। এতে কি কোনো তালাক হবে? দয়া করে একটু উত্তরটা দিবেন।
নিবেদক
মুহা. আলামিন
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী আপনার বক্তব্যের কারণে কোন তালাক কার্যকর হয়নি। কারণ এ ধরণের বক্তব্য দ্বারা তালাকের নিয়ত ছাড়া তালাক কার্যকর হয় না। আর বিবরণ দ্বারা সুস্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি মুফতী সাহেবের কাছে শুধু মাসআলা জানার জন্য এভাবে বলেছেন, আপনার তালাকের কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তাই কোন তালাক কার্যকর হয়নি। তবে আপনি যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুখে উচ্চারণ করে তালাকের নিয়তে উক্ত কথা বলেন, তাহলে তালাক কার্যকর হবে।
الاحالة الشرعية على المطلوب-
في” رد المحتار” (4/461) لو كرر مسائل الطلاق بحضرتها أو كتب ناقلا من كتاب امرأتي طالق مع التلفظ أو حكى يمين غيره فإنه لا يقع أصلا ما لم يقصد زوجته
وفي “رد المحتار” (4/458) قوله: (لترك الإضافة) أي المعنوية فإنها الشرط والخطاب من الإضافة المعنوية وكذا الإشارة نحو هذه طالق‘ وكذا نحو امرأتي طالق و زينب طالق
وفي”الهندية ” (1/443) ولو قال لها: لانكاح بيني و بينك أو قال: لم يبق بيني وبينك نكاح‘ يقع إذا نوى
و في “البزازية” (10/112) لا يقع الطلاق لعدم الإضافة إليها
و في ” التاتارخانية” 4/392) الأصل أن الطلاق إنما يقع لوجود لفظ الإيقاع من مخاطب في ملكه‘ إذا طلق المخاطب المكلف امرأته وقع الطلاق
و فی ” دار العلوم دیوبند” (9/398) اگر یہ لفظ کہا کہ اگر آج سے میں تیری ساتھ الخ (کسی قسم کا لڑائی جھگڑا کروں تب )تو مجھ سے بے تعلق ہےیا تیرا میرا کوئی تعلق نہیں تو اس میں نیت کا اعتبار ہے ، اگر نیت شوہر کی ان الفاظ سے طلاق کی تھی تو ایک طلا ق بائنہ بعد شرط کے یعنی لڑائی کر نے کے واقع ہو گئی ، اور اگر نیت طلاق سے یہ الفاظ نہ کہے تھے تو طلاق واقع نہیں ہوئی اور نیت کا حال شوہر سے معلوم ہو سکتاہے.انتهى، والله أعلم بالصواب