বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ,বাংলাদেশ।
বিষয়: জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমার এলাকা সিরাজগঞ্জ এর বেলকুচিতে । ব্যাক্তিগত উদ্যোগে একটি বিলাস বহুল মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যে জায়গার উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছে এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা ৪ ভাই বোন যারা সবাই নাবালক থাকা অবস্থাতেই বড় তিন জনের বয়স বাড়িয়ে এবং আমি জীবত থাকা স্বত্তেও আমার অনুমতি ছাড়া ভূয়া দলিল এর মাধ্যেমে তারা জমিটি হাতিয়ে নেয়। ঢাকা ব্যাংক এর একজন ডিরেক্টর আমান উল্লাহ সরকার ২০২১ সালে সেই জমির উপর নিজের নামে ‘আল আমান বাহেলা খাতুন’ নামে একটা বিলাস বহুল মসজিদ উদ্বোধন করে। এখন ঠিক এই মসজিদ এর সামনে আমাদের একটি ব্যবসায়িক মার্কেট আছে। তারা ষড়যন্ত্র করে এখন সেই মার্কেটটি দখল করতে চাচ্ছে। এখন আমি আমার সম্পদ রক্ষা করতে আমার যে জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা হইছে এর বিরুদ্ধে কি করতে পারি ? যেটা করলে ইসলাম বিরোধী কাজ হবে না।
নিবেদক
রাব্বি আমিন
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে উল্লিখিত মসজিদটি শরয়ী মসজিদ হয়নি। এই মসজিদের জায়গাটির মালিকানা আপনাদেরই রয়েছে। উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া মাকরূহ হবে। এখন আপনারা চাইলে স্থানটি মসজিদের জন্য ওয়াকফ করতে পারেন আবার চাইলে প্রচলিত রাষ্ট্রীয় আইনের সহযোগিতায় জমিটি উদ্ধার করে নিজের যেকোনো কাজে তা ব্যবহার করতে পারেন। মালিকানা জমি হিসাবে যেকোনো ধরনের বৈধ হস্তক্ষেপের অধিকার আপনাদের রয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্যের জমি অন্যায়ভাবে দখল করা মারাত্মক কবিরা গুনাহ । হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু সালামা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, একবার তার সাথে কিছু মানুষের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। অতঃপর তিনি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু কাছে গেলেন এবং তাকে এ সম্পর্কে বললেন । তখন তিনি বললেন, হে আবু সালামা! জমিটি থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি দখল করে কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক জমিন গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে।” ( সহিহ বুখারী ৩০৯১)
الإحالة الشرعية على المطلوب
أخرج الإمام البخاري في “صحيحه” برقم(٣٠٩١) عن ابي سلمة ابن عبد الرحمن وكانت بينه وبين أناس خصومة في ارض فدخل على عائشة فذكر لها ذلك فقالت يا ابا سلمة اجتنب الارض فقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ظلم قيد شبر من الارض طوقه من سبع ارض
أخرج الإمام البيهقي في “سننه الكبرى” برقم(١١٧٤) عن ابي حرة الرقاشي عن عمه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يحل مال امرئ مسلم الا بطيب نفس منه
**وفي” مجمع الأنهر”(٢/٥٦٧) ومن شرائطه الملك وقت الوقف حتى لو غصب أرضا فوقفها ثم ملكها لا يكون وقفا
وفي “البحر”(٥/٣١٤) الخامس من شرائطه الملك وقت الوقف حتى لو غصب وقفا لانه انما ملكها بعد إن وقفها هذا على انه هو الواقف… لو استحق بطل
وفي” الدر المختار” وكذا تكره في أرض مغصوبة او للغير لو مزروعة او مكروبة
وفي “الشامي” (ارض مغصوبة) ومدرسة السليمانية في دمشق مبنية في ارض المرجة التي وقفها السلطان نور الدين الشهيد على ابناء السبيل بشهادة عامة اهل دمشق وقف الارض الذي هو لنص الشارع الصلاة فيها مكروهة تحريما في قول وغير صحيحة في قول اخر كما نقل في “الجامع الفتوى”
وفي “قواعد الفقه” لا يجوز لأحد أن يأخذ مال أحد بلا سبب شرعي ولا يجوز لأحد أن يتصرف في ملك الغير بغير إذنه
**وفي “الدر المختار”(٦/١٩٢سعيد)[ وما بنى او غرس في أرض غيره بغير إذنه امر بالقلع والرد] لو قيمة الساحة اكثر كما مر( وللمالك ان يضمن له قيمة بناء او شجر امر يقلعه) اي مستحق القلع فتقوم بدونهما ومع احدهما مستحق القلع فيضمن الفضل
**وفي محموديہ(٢٨/٢٦)الجواب: زمین غصب کرنا کبیرہ گناہ ہے، غاصب کے گلے میں ساتوں زمینوں کا طوق بنا کر ڈالا جائے گا، پڑوسی کو لازم ہے کہ اپ کی زمین خالی کر دے، مکان ہٹا لے یا ملبہ کی قیمت اپ سے لے، اس طرح وہ مکان بھی اپ کا ہو جائے گا یا اپ کی زمین اپ سے کرایہ پر لے لے اور کرایہ اپ کو دیتا رہے، اس طرح زمین اپ کی رہے گی مکان اس کا رہے گا یا زمین کی قیمت اپ کو دیدے اس طرح زمین بھی اس کی ہو جائے گی، غرض سمجھوتہ سے جس پر دونوں متفق ہو جائیں ،وہ معاملا کر لیا جائے۔۔ اللہ اعلم بالصواب