গীবত শুনা প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: গীবত শুনা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমার মা আর আমার বোনেরা মিলে যদি এক রুমে গীবত করছে আর আমি যদি অন্য রুম থেকে শুনি তাহলে কি আমার গীবত শুনার গুনাহ হবে?
নিবেদক
মুছা: সায়মা।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গীবত শুনে থাকেন তাহলে গীবত শুনার কারণে আপনারও গুনাহ হবে। আর যদি গীবতের আওয়াজ এ পরিমাণ উচ্চস্বরে হয় যে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও গীবতের আওয়াজ কানে ভেসে আসে তাহলে গীবত শুনার কারণে আপনার কোন গুনাহ হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে করণীয় হল,আপনি সম্ভব হলে উক্ত গুনাহ থেকে নিষেধ করবেন। আর যদি নিষেধ করা সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে উক্ত গুনাহর প্রতি অন্তরে ঘৃণা পোষণ করবেন।
উল্লেখ্য, শরীয়তের দৃষ্টিতে গীবত খুবই মারাত্মক একটি কবীরা গুনাহ , এমনকি কুরআনুল কারীমে গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের গোস্ত ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। তাই এ থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্যই আবশ্যক।

الاحالة الشرعية على المطلوب
قوله تعالى في سورة الحجرت (جزء أيت- ولا يغتب بعضكم بعضا أيحب أحدكم أن يأكل لحم أخيه ميتا فكرهتموه وتقواالله ان الله تواب رحيم
وفى قوله تعالى فى سورة “الهمزة” ويل لكل همزة لمزة
أخرج الامام البيهقى في شعب الايمان من حديث جابربن عبد لله رضى الله قال: الغيبة أشد من الزناء
وفى” رد المحتار” (9/588) ان المستمتع لا يخرج من اثم الغيبة إلا أن ينكر بلسانه فإن خاف فبقلبه
وفی “معارف القرآن”(8/122)  عام مسلمانوں پر لا زم کیا گیا ہے کہ جو سنے وہ اپنے غائب بھائ کی طرف سے بشرط  قدرت مدافعت کرے اور مدافعت پر قدرت نہ ہو تو کم از کم اس کے سننے سے پرہیز کرے کیونکہ غیبت کا بقصد و اختیار سننا بھی ایسا ہے جیسے خود غیبت کرنا
وفی ” جامع الفتاوی”(3/145)   غیبت کی تعریف  اور اس کے حکم ….. بغیر مجبوری غیبت سننا غیبت کرنے کے مثل ہے
وفی ” فتاوی قاسمیہ”(24/510)  غیبت کو دلچسپی سے سننے والے کو بھی غیبت کا گناہ ہوگا. انتهى ، والله أعلم بالصواب