বরাবর
আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: কেনায়া তালাক প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। আমার না জানার কারণে আগেই স্ত্রীকে দুই তালাক পতিত অবস্থায় আছে। তাই আমি এই সম্পর্কে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকি। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় স্ত্রী বলে আমি কিন্তু শুক্রবারে গেলে আর আসবোনা (শুক্রবার শশুর বাড়ি দাওয়াত)। তার বলার কারণ ওখানে থেকে যাওয়া, তালাক নয়। আমি একপর্যায়ে একটু রাগ হওয়ায় তাকে বলি, তাহলে তুই কাল গেলে আর আসিস না। আমার তালাকের নিয়ত ছিলোনা। কিন্তু মাথায় এমন চিন্তা চলে আসে যে, যদি ঠকে যাস আমায় বিয়ে করে তাহলে আসার দরকার নাই। আমার আরো মনে হয় যে, ও যদি একবারে থেকে যায় তাহলে তো অটো তালাক হয়ে যাবে। এসব চিন্তা-ভাবনা তখন মাথায় আসে। তারপর আমি প্রচুর দুশ্চিন্তায় পরে যাই। কিন্তু আমি তালাকের নিয়ত করে এসব বলিনাই। তবুও আমার মাথায় এসব চলে আসে। এছাড়া আল্লাহ একমাত্র ভালো জানেন৷
নিবেদক
মুহা: এনামুল হক।
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার কথার কারণে কোন তালাক কার্যকর হয়নি, কেননা তালাকের নিয়ত ছাড়া এধরনের কথার দ্বারা তালাক কার্যকর হয় না। আর মনে মনে যে সকল কল্পনা বা চিন্তা আসে তা দ্বারাও কোন তালাক কার্যকর হয় না।
الاحالة الشرعية على المطلوب
في “رد المحتار” (4/534) اخرجى اذهبى خلية برية في حالة الغضب ملزم النية
وفي “البحر الرائق”(3/526) أن من الكنايات ثلاث عشرة لا يعتبر فيها دلالة الحال ولا تقع الا بالنية
وفي “البدائع” (4/283) واذا احتملت هذه الالفاظ الطلاق وغير الطلاق فقد استتر المراد منها عند السامع فافتقرت إلى النية لتعيين المراد
وفي “فتاوى قاضيخان “(7/284) حبلك على غاربك تقنعى استترى قومى اخرجى اذهبى لا يقع الطلاق إلا بالنية
وفي “التاتارخانية”(4/459) وفي الخانية: وفي الخمسة المذكورة من الثمانية عند أبى حنيفة رحمه الله تعالى اذا قال لم انو الطلاق لا يقع ويصدق قضاء
وفي “الهندية”(1/442) وفي حالة الغضب: يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسبب إلا فيما يصلح للطلاق ولايصلح للرد والشتم كقوله: اعتدى‘واختارى‘ وامرك بيدك فنه لايصدق فيها كذا في الهداية
وفي”فتاوم قاسمية ” (14/739)وفی الجواب: جب مذکورہ الفاظ ( تومیری زندگی میں میرے گھر نہیں آسکتی ہے میں تمہرا کچھ نہیں ہوں) استعمال میں اس نے طلاق کی نیت نہیں کی اور محض حالت غصہ میں یوں ہی کہدیا ہے تو محض دھونس ہے اس سے کوئی طلاق نہیں ہوئی نکاح بدستور باقی ہے