কুরআনে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম
মাওলানা আলী হাসান
সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম ইসলামের স্বর্ণযুগের এক বরকতময় জামাতের নাম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সোহবত ও সংশ্রবের জন্য মনোনীত করেছেন। তাঁরা ছিলেন এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ জামাত। তাঁদের মহান ত্যাগ ও কুরবানীর বদৌলতে আমরা ইসলামের এই মহা নেয়ামত লাভ করেছি। তাঁদের প্রত্যেকেই আমাদের জন্য আদর্শ। কারণ তাঁরা ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রেখে যাওয়া উসওয়ায়ে হাসানার বাস্তব নমুনা। তাঁরা ছিলেন হেদায়েতের আলোর মিনার। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু এর ভাষায় كانوا على الهدي المستقيم অর্থঃ তাঁরা ছিলেন সরল সঠিক পথের অনুসারী। – জামেউ বয়ানিল ইলম,বর্ণনা ১৮১০।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে সঠিক ইলম হাসিলের গুরুত্বঃ
১। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে জানা,তাঁদের মাকাম সম্পর্কে অবগত হওয়া। যে সকল কারণে তাঁদের সম্পর্কে জানাটা আমাদের জন্য জরুরি তার মধ্য হতে মৌলিক কয়েকটি কারণ এখানে উল্লেখ করছি। সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে জানা, তাঁদের সীরাত অধ্যয়ন করা মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত চর্চারই একটি অংশ। সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হল তাঁর সাথীবর্গ তথা সাহাবায়ে কেরামের সীরাত। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সাহাবায়ে কেরামের সীরাত বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে।
২। দ্বীন ইসলামের মহা নেয়ামত লাভের ক্ষেত্রে আমাদের ওপর সাহাবায়ে কেরাম রা. এর যে অপ্রতিশদ্ধ ঋণ ও ইহসান রয়েছে তা নিজেদের মধ্যে জাগরুক রাখার জন্য তাঁদের সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। যাতে আমরা সর্বদা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতার মানসিকতা লালন করতে পারি। আমাদের ওপর আরোপিত তাঁদের প্রাপ্য হকগুলো আদায়ে আমরা সচেষ্ট হতে পারি।
৩। শরীয়ত সাহাবায়ে কেরাম সংশ্লিষ্ট কিছু বিধি-বিধান আরোপ করেছে। যা মানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই জরুরি। এই বিধানগুলোর সহীহ ইলম হাসিল করা এবং ( নিজের আত্মিক প্রশান্তির জন্য ) এগুলোর স্বার্থকতা অনুমান করার জন্য সাহাবায়ে কেরামের সীরাত অধ্যয়নের বিকল্প নেই।
৪। নিজের ঈমান-আমলের তারাক্কীর জন্য সাহাবায়ে কেরামের সীরাত অধ্যয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কারণ তাঁদের জীবনের এক একটি দিক, একেকটি ঘটনা ঈমান ও আমলের তারাক্কীর ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী। এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ ও পরীক্ষিত বিষয়।
৫। ইসলামকে কলুষিত করার ক্ষেত্রে ইসলাম বিদ্বেষীদের একটি হাতিয়ার হল সাহাবায়ে কেরামকে দোষী সাব্যস্ত করা, তাঁদের সমালোচনা করা, তাঁদের ব্যাপারে উম্মতকে আস্থাহীন করে তোলা। এক্ষেত্রে তাঁরা নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভত্তিহিীন বিভিন্ন বিষয়কে দলিল হিসেবেও পেশ করেছে। দুঃখের বিষয় হল মুসলিম সমাজেরও কেউ কেউ এদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরামের সঠিক মূল্যায়নে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য সচেতন মুমিন হিসেবে প্রত্যেকেরই দায়িত্ব হল নির্ভরযোগ্য উৎসসমূহের মাধ্যমে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম সম্পর্কে সঠিক ইলম হাসিল করা। যাতে করে আমরা নিজেরা তাঁদের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি, তাঁদের সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকতে পারি এবং অন্যকেও সতর্ক করতে পারি।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে জানার জন্য নির্ভরযোগ্য একাধিক উৎস রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা শুধুমাত্র কুরআন কারীম থেকে তাঁদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। কুরআন কারীমে তাঁদের সংশ্লিষ্ট যেসকল বিষয় আলোচনায় এসেছে সেগুলোই এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়। তবে আরো বিস্তারিত জানতে হলে আমাদেরকে হাদীস, সীরাত, আকায়েদ, তারীখসহ অন্যান্য উৎস থেকে সহযোগিতা নিতে হবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে সন্তুষ্টির ঘোষণাঃ
মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন। দুনিয়া তো বটেই জান্নাতেও সকল নেয়ামতরাজির মধ্যে সর্বোত্তম নিয়ামত হল আল্লাহ তাআলার রেযা ও সন্তুষ্টি। হাদীসে এসেছে আল্লাহ তাআলা জান্নাতবাসীদের বিভিন্ন নিয়ামতরাজি দান করার পর তাদেরকে ডাক দিয়ে বলবেন: হে জান্নাতীরা ! তোমরা কি সন্তুষ্ট? জবাবে তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা কেনই বা সন্তুষ্ট হব না, আপনি তো আমাদেরকে এই পরিমাণ নেয়ামত দান করেছেন যা অন্য কাউকেই দান করেননি। পরওয়ারদিগার! এগুলোর চেয়ে উত্তম নেয়ামত আর কি হতে পারে !? তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমাদের জন্য আমি আমার সন্তুষ্টিকে অবধারিত করে দিলাম। আর কখনোই আমি তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হব না। – সহীহ বুখারী হাদীস নং: ৬৫৪৯
পুরো উম্মতের মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের এটা একক বৈশিষ্ট্য যে তাঁরা দুনিয়াতে থাকতেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনরে পক্ষ হতে সন্তুষ্টির ঘোষণা পেেয়ছেন।
ইরশাদ হয়েছে,
وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা (ঈমানে) প্রথমে অগ্রগামী হয়েছে এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানরাজি তৈরি করে রেখেছেন, যার তলদেশে নহর বহমান। তাতে তারা সর্বদা থাকবে। এটাই মহা সাফল্য। – সূরা তাওবা: ১০০
আয়াতে সকল মুহাজির ও আনসার সাহাবীদের প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। – তাফসীরে কাবীর: ১৬/১২৯; রুহুল মাআনী: ৬/৯।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে,
الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِنْدَ اللَّهِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ . يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُمْ بِرَحْمَةٍ مِنْهُ وَرِضْوَانٍ وَجَنَّاتٍ لَهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُقِيمٌ
যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহর পথে হিজরত করেছে এবং নিজেদের জান-মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদায় অনেক শ্রেষ্ঠ এবং তারাই সফলকাম। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে রহমত, সন্তুষ্টি ও এমন উদ্যানসমূহের সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার ভেতর তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী নিয়ামত। – সূরা তাওবা: ২০-২১।
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা মদীনায় হিজরতকারী সাহাবীদেরকে নিজের পক্ষ হতে সন্তুষ্টি, রহমত ও জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। -তাফসীরে কাবীর: ১৬/১৫ ;আত তাহরীর ওয়াত তানবীর : ১০/১৫০।
আরো ইরশাদ হয়েছে,
لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের প্রতি খুশী হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বায়আত গ্রহণ করছিল। তাদের অন্তরে যা-কিছু ছিল সে সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন। তাই তিনি তাদের উপরে অবতীর্ণ করলেন প্রশান্তি এবং পুরস্কারস্বরূপ তাদেরকে দান করলেন আসন্ন বিজয়। – সূরা ফাতাহ: ১৮।
আয়াতে বাইয়াতে রিযওয়ানের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যে বাইয়াত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের সংখ্যা ছিল প্রায় চৌদ্দশ। তারা তখন চরম বীরত্ব এবং আত্মোৎসর্গ ও আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁদেরকেই আপন সন্তুষ্টির সুসংবাদ দিচ্ছেন। – তাফসীরে তাবারী : ২১/২৭৫ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৭/৩৩৯
এখানে কয়েকটি আয়াত পেশ করা হল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এর প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রেযা ও সন্তুষ্টির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আয়াতেও বিভিন্ন শৈলীতে তাঁদের প্রতি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির প্রকাশ ঘটেছে।
সামনে আমরা দেখব আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি মাগফিরাতের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের ঈমান ও তাকওয়ার প্রশংসা করেছেন। এসবই হলো তাঁদের প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ।
সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আল্লাহ তাআলার এই সন্তুষ্টি প্রকাশের অত্যাবশ্যকীয় দাবি হলো তাঁরা দ্বীনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কামিয়াবির সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর এই কামিয়াবি ও সন্তুষ্টি নিয়েই আপন প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। কারণ যার প্রতি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রতি তিনি কখনোই নারাজ হতে পারেন না। তিনি তো সর্বজ্ঞ। সাহাবায়ে কেরামের আগে পরের বিষয় জেনেই তো তিনি সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন। – আল ইসতিআব ১/৪ ; মাকামে সাহাবা, ৩৬
আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে ক্ষমা প্রাপ্তির সুসংবাদঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে মাগফিরাত বা ক্ষমাপ্রাপ্তি মুমিনের যিন্দেগীর পরম চাওয়া পাওয়া। কুরআন হাদীসের বহু জায়গায় আল্লাহর কাছে ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন ঐ সৌভাগ্যবান জামাত যারা দুনিয়াতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে মাগফিরাত ও ক্ষমা প্রাপ্তির সুসংবাদ ও প্রতিশ্রুতিতে ধন্য হয়েছেন।
ইরশাদ হয়েছে,
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ آوَوْا وَنَصَرُوا أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا ۚ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে আর যারা (তাদেরকে) আশ্রয় দিয়েছে ও (তাদের) সাহায্য করেছে, তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে মাগফিরাত ও (জান্নাতের) সম্মানজনক রিযিক। – সূরা আনফাল : ৭৪
আয়াতে মুহাজির ও আনসার উভয় দলকেই মাগফিরাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
সূরা ফাতাহ এর ২৯ নম্বর আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের কিছু গুণাবলী বর্ণনার পর তাঁদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে,
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
অর্থঃ যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে মাগফিরাত ও মহা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সাহাবায়ে কেরামের প্রত্যেক সদস্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে প্রতিশ্রুত এই ক্ষমা ও মাগফিরাতের অংশীদার। যার দাবি হলো তাঁদের কারো থেকে মানবীয় তাকাযায় কখনো কোন ভুল হয়ে গেলেও তাঁর তাওবার তাওফিক হয়েছে এবং আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন। – মাকামে সাহাবা,৫৯
সুতরাং যাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মাফ করে দিয়েছেন তাদের কোন বিষয় নিয়ে কারো কোন সমালোচনার অধিকার থাকতে পারে না।
(পর্ব ০১ হতে ০৪ পর্যন্ত চলমান থাকবে)