বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া, পোরশা, নওগাঁ।
বিষয়: কুফুরী বাক্য প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আমার বউ আজকে একটি কাযা রোযা রেখে ছিলো, এতে সে কিছু ক্লান্ত ছিলো, সন্ধ্যায় যখন সে শুয়ে ছিলো তখন আমি তার সাথে একটু ঘনিষ্ঠ হই, কিন্তু সে ক্লান্ত থাকায় আমার কাজে বিরক্ত হয়ে আমাকে সরানোর জন্য বলে ” আর রাখবোনা রোযা বাল”। তারপর তাকে বলি এমনটি বলেছো কেনো, বলে কষ্ট লাগায় বলেছি। তারপর বললাম তাই রোযা নিয়ে এসব বলবে? তখন আর কিছু বলে নাই। কিছুক্ষণ পর কুফুরের সন্দেহ হলে, তাকে এই সম্পর্কে আবার জিগ্যেস করলে বলে,””আমি তো শরিয়ত নিয়ে ঠাট্টা করে এমনটি বলি নাই” মুলত আমি টায়ার্ড ছিলাম আর তোমার উপর রাগ করে এমনটি বলেছি তোমাকে সরানোর জন্য। (আসলে আমি তখন তার সাথে সহবাস ছাড়া কিছুটা ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলাম, এবং সে শুয়ে ছিলো) এবং সে বলেছে “রোযাকে গালি দেওয়ার নিয়ত ছিলো না”। আসলে রাগ উঠলে এই শব্দটি সে প্রায়ই ব্যবহার করে। তাই হঠাৎ রাগ দেখানোর জন্য “আর রাখবোনা রোযা বাল” এভাবে বলে ফেলে। বিস্তারিত বর্ননা কি বলে, তাকে ইমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে? একজন বললেন কাফের হয়ে গেছে, বড় টেনশনে আছি, সে তো রোযা অস্বীকার ও করেনি, রোযাকে গালির উদ্দেশ্যে বাল শব্দটি বলেনি।
নিবেদক
জিরফান
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী আপনার স্ত্রীর উক্ত বক্তব্য দ্বারা শরিয়তকে ঠাট্টা করা উদ্দেশ্য ছিল না তাই তার বক্তব্যের কারণে সে কাফের হবে না এবং তার ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে না। তবে এধরণের বাক্য যেহেতু শরীয়ত পরিপন্থী তাই গালি হিসেবেও এধরণের বাক্য বলা জায়েয নেই। কেননা কুফুরী শব্দ বা কুফুরীর সন্দেহ সৃষ্টি করে এমন শব্দ সর্ব অবস্থাতেই বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তাই আপনার স্ত্রীর জন্য করণীয় হলো, প্রশ্নোক্ত বাক্য বলার কারণে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করা এবং আগামীতে কোন অবস্থাতেই এরকম কোন শব্দ না বলা।
الاحالة الشرعية على المطلوب
في”الأشباه والنظائر” (103) وكذا قولهم بكفره: إذا قرأ القرآن في معرض كلام الناس كما إذا اجتمعوا فقرأ “فجمعناهم جمعا” وكذا إذا قرأ “وكأسا دهاقا” عند رؤية كأس وله نظائر كثيرة في ألفاظ التكفير كلها‘ ترجع إلى قصد الاستخفاف به
وفي”الفتاوى التاتارخانية ” (7/284) وما كان خطأ من الألفاظ ولاتوجب الكفر فقائله مؤمن على حاله ولايؤمر بتجديد النكاح ولكن يؤمر بالاستغفار والرجوع عن ذلك
وفيه أيضا (7/281) يجب أن يعلم أنه إذا كان فى المسئلة وجوه توجب التكفير و وجه واحد يمنع التكفير فعلى المفتى أن يميل إلى الوجه الذى يمنع التكفير تحسينا للظن بالمسلم ثم إن كانت نية القائل الوجه الذى يمنع التكفير فهو مسلم وإن كانت نيته الوجه الذى يوجب التكفير لاتنفعه فتوى المفتى ويؤمر بالتوبة والرجوع عن ذلك وتجديد النكاح بينه وبين امرأته وفي”الظهيرية ” وإن لم تكن له نية حمل المفتى واستجداد النكاح
وفي”الفتاوى البزازية ” (12/190) قال الناطفي: قوله: لاأصلى على أربعة أوجه: لاأصلى بأمرك فقد أمرني بها من هو خير منك أو لا أصلى فسقا ومجانة لايكفر إلى الرابع لاأصلى إذ لاتجب على ولم أومر بها يكفر قال الناطفي: إذا أطلق تحتمل الوجوه الثلاث أيضا فلايكفر
وفي”الفتاوى الهندية ” (2/281) ولو قال: ليت صوم رمضان لم يكن فرضا‘ فقد اختلف المشايخ في كفره‘ الصواب ما نقل عن الشيخ الإمام أبي بكر محمد بن الفضل رح إن هذا على نيته إن نوى من أجل أن لا يمكنه أداء حقوحة‘ لايكفر.
**في”كتاب النوازل” (1/391)جواب: کسی تکلیف وغیرہ کی وجہ سے جھنجھلا کر رہ کہ دینے سے کہ “میں نماز نہیں پڑھوں گی” مذکورہ عورت کو کافر نہیں کہا جائے گا، اور نہ اس کے نکاح کو توڑنے کا حکم ہوگا.- انتهى ، والله أعلم بالصواب