আল জামি'আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা

গোসল ফরয থাকা অবস্থায় কুরআনের তেলাওয়াত শুনা প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: গোসল ফরয থাকা অবস্থায় কুরআনের তেলাওয়াত শুনা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: হযরত একজন হাফেজ সাহেব একদিন স্ত্রী সহবাসের পরে গোসল ফরয অবস্থায় ভোর রাতে হেফজ ছাত্রদের সবক কুরআন থেকে দেখে দেখে শুনেছে, তবে সে কুরআন শরীফ স্পর্শ করে নাই এবং তেলাওয়াতও করেনি,পরে গোসল করে ফজরের সালাত আদায় করেছে। এখন জানার বিষয় হল,এর দ্বারা হাফেজ সাহেবের গুনাহ হবে কিনা এবং এই কাজটাকে জায়েয নাই বলা যাবে কিনা ?
নিবেদক
ইমদাদুল্লাহ
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হাফেজ সাহেবের কোন গুনাহ হবে না এবং উক্ত কাজটিকে “জায়েয নাই” বলা যাবে না। কেননা গোসল ফরয থাকা অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত নিষিদ্ধ হলেও তেলাওয়াত শুনা নিষিদ্ধ নয়। হাদীস শরীফে এসেছে: হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েয অবস্থায় ছিলাম। (সহীহ বুখারী,হাদীস নং:২৯৭; সহীহ মুসলিম,হাদীস নং:৩০১) তবে গোসল ফরয থাকা অবস্থায় ছাত্রদের সবক না শুনাই উচিত এবং বিনা কারণে ফরয গোসলে ‍বিলম্ব না করাই উচিত।

الاحالة الشرعية على المطلوب
أخرج الإمام البخاري رح في”صحيحه”(1/44،برقم:297) والإمام مسلم رح في”صحيحه”( ) أن عائشة حدثتها أن النبي ﷺ كان يتكي في حجري وأنا حائض ثم يقرأ القران
وفي”الدر المختار”(1/346) ويحرم بالحدث الأكبر دخول مسجد—وتلاوة قرأن ولو دون آية على المختار بقصده
وفي”الهندية”(1/92) لا تقرأ الحائض والنفساء والجنب شيئا من القرأن،والآية وما دونها سواء في التحريم على الأصح——ولا يكره للجنب والحائض والنفساء النظر في المصحف
وفي”بدائع الصنائع”(1/267) وأما حكم الحائض والنفاس فمنع جواز الصلوة والصوم وقراءة القرأن ومس المصحف إلا بغلاف ودخول المسجد والطواف في البيت لما ذكرنا في الجنب- إلا ان الجنب يجوز له أداء الصوم مع الجنابة ولا يجوز للحائض والنفساء لأن الحيض والنفساء اغلظ من الحدث
وفي”مراقي الفلاح”(142) ويحرم قراءة أية من القرأن إلا بقصد الذكر إذا اشتملت عليه لا على حكم أو خبر
وفي”احسن الفتاوى”(2/67) حالت حیض میں تلاوت قرآن کے سوا ہر قسم کا ذکر جائز ہے،قرآن کی آیت بھی دعا کی نیت سے پڑھنا جائز ہے. ،انتهى والله أعلم بالصواب

ফতোয়া প্রদান করেছেনঃ
মুফতি আব্দুল আলিম সাহেব (দা.বা.)
নায়েবে মুফতী-ফতোয়া বিভাগ
আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ-পোরশা, নওগাঁ ।

শেয়ার করুন !!
Scroll to Top