উমরী কাযা নামায প্রসঙ্গে

বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: উমরী কাযা নামায প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: মাননীয় মুফতী সাহেব হুজুর, আমার জীবনে অনেক নামাজ কাযা হয়ে গেছে যেগুলো এখনো আদায় করা হয়নি,কত ওয়াক্ত নামাজ তার সংখ্যাও জানা নাই,অর্থাৎ উমরী কাযা যেটা বলি আমরা। তো এখন মুফতী সাহেবের নিকট জানতে চাচ্ছি যে, আমার করণীয় কি? আমার কি নামাজগুলো আদায় করতে হবে? যদি আদায় করতে হয়,তাহলে কিভাবে আদায় করবো? বিস্তারিতভাবে জানালে উপকৃত হতাম!
নিবেদক
মুহা. মামুনুল হক
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا و مصليا و مسلما-
সমাধান: হ্যাঁ,প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে অনাদায়ী নামাযগুলোর কাযা আদায় করতে হবে। কেননা ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত কিংবা অন্য কোন কারণে কোন ওয়াক্তের ফরয অথবা ওয়াজিব নামায ছুটে গেলে এবং যথা সময়ে তা আদায় করা সম্ভবপর না হলে পরবর্তীতে তা আদায় করা আবশ্যক। ছুটে যাওয়া নামায সংখ্যায় কম হোক বা বেশি। হাদীস শরীফে এসেছে: হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে যায় কিংবা নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে তার কাফফারা হল,যখন নামাযের কথা স্মরণ হবে তখন তা আদায় করা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,আমার স্মরণে নামায আদায় কর। (সহীহ মুসলিম,হাদীস নং:৬৮৪)।
কাযা নামাযের ক্ষেত্রে শুধু ফরয এবং বিতিরের কাযা করতে হবে। সুন্নতের কাযা করা জরুরী নয়। আর উমরী কাযা নামায আদায় করার ক্ষেত্রে প্রথমে কোন ওয়াক্ত নামায কত রাকাত কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করে নিতে হয়। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার কত ওয়াক্ত নামায কাযা হয়েছে তার সংখ্যা জানা নাই তাই অনুমান করে সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করবেন এবং আপনার সব কাযা নামাযগুলো আদায় হওয়াটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একে একে তা আদায় করতেই থাকবেন। আপনি চাইলে কাযা নামাযগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে পারবেন। যেমন:ফজর,যোহর,আসর এভাবে অথবা চাইলে প্রথমে শুধু ফজর পড়বেন এবং সবগুলো ফজরের কাযা শেষ করবেন। এভাবে বাকী নামাযগুলো পড়বেন। আর উমরী কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবেন যেমন উদাহারণস্বরূপ: “আমার যিম্মায় এখন যত ফজরের নামাযের কাযা আছে তার প্রথম ফজরের কাযা আদায় করছি।” ঠিক উল্টোভাবেও নিয়তটি করা যায় যে “আমার যিম্মায় এখন যত ফজরের নামাযের কাযা আছে তার সর্বশেষ ফজরের কাযাটি আদায় করছি।” প্রত্যেকবার এভাবেই নিয়ত করবেন এবং বাকী ওয়াক্তের নামাযগুলোও এই নিয়মেই আদায় করবেন।

الاحالة الشرعية على المطلوب
أخرج الإمام البخاري ^رح في”صحيحه”(572) عن انس بن مالك ^رض عن النبي ﷺ قال من نسي صلوة فليصل إذا ذكرها لا كفارة لها إلا ذلك اقم الصلوة لذكري
وأخرج الإمام مسلم ^رح في”صحيحه”(684) عن انس بن مالك ^رض قال قال رسول الله ﷺ إذا رقد أحدكم عن الصلوة أو غفلها فليصلها إذا ذكرها فإن الله عزوجل يقول اقم الصلوة لذكري
وأخرج الإمام ابن ماجة ^رح في”سننه”(1188) عن أبي سعيد ^رض قال قال رسول الله ﷺ من نام عن الوتر أو نسيه فليصل إذا أصبح أو ذكر
وفي”البحر الرائق”(2/141) فالأصل فيه ان كل صلاة فاتت عن الوقت بعد ثبوت وجوبها فيه فإنه يلزم قضائها،سواء تركها عمدا أو سهوا أو بسبب نوم، وسواء كانت الفوائت كثيرة أو قليلة
وفي”تنوير الأبصار”(2/633) وقضاء الفرض والواجب والسنة فرض وواجب وسنة
وفي”الدر المختار”(2/650) كثرت الفوائت نوى أول ظهر عليه أو آخره
وفي”مراقي الفلاح”(446) وإذا كثرت الفوائت يحتاج لتعيين كل صلوة فإذا أراد تسهيل الأمر عليه نوى أول ظهر عليه أدرك وقته ولم يصله فإذا نواه كذلك فيما يصله يصير أولا،فيصح. بمثل ذلك وهكذا أو إن شاء نوى آخره فيقول أصلي آخر ظهر أدركته،ولم أصله بعد فإذا فعل كذلك فيما يليه يصير آخرا بالنظر لما قبله فيحصل التعيين
وفي “فتاوى عباد الرحمن”(2/406) جواب:بلوغت کے بعد جتنی بھی نمازیں رہ گئ ہوں سب کی قضاء ضروری ہے اگر چہ کئ سالوں کی نمازیں قضاء ہوگی ہوں  نماز معاف نہیں ہوتی اور پڑھنے کا طریقہ کوئ الگ نہیں ہے،البتہ حساب رکھنا چاہئے کہ کتنی باقی رہ گئ ہیں اور نماز کی تاریخ معلوم نہ ہو تو نیت کرتے وقت کم ازکم اتنی تعیین کرنی چاہئے کہ سب سے پہلی فجر کی نماز مثلا جو رہ گئ ہے اسکی قضاء کر رہا ہوں یعنی دل میں اس طرح خیال رکھ کر اگلی نماز پہلی فوت شدہ  شمار ہوتی ہے
وفي”كتاب النوازل”(4/522) قضا شدہ فرض اور واجب نمازوںگی ادائیگی بہر حال ضروری ہے. وفيه أيضا(4/526) قضاء عمری کی نیت اس طرح کریں کہ میرے ذمہ فجر کی جو سب سے پہلے نماز باقی ہے وہ پڑھتاہوں یا اس طرح نیت کریں کہ میرے ذمہ فجر کی جو سب سے آخری نماز باقی ہے وہ پڑھتا ہوں اس طرح دیگر نمازوں کی نیت کرے. ،انتهى والله أعلم بالصواب