বরাবর,
ফতোয়া বিভাগ, আল-জামি‘আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়া,পোরশা,নওগাঁ।
বিষয়: ইমামতি প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম মাননীয় মুফতি সাহেব হুজুর, আমাদের এলাকার মসজিদের ইমাম রুকুতে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আল্লাহু আকবর শেষ করে দেয় তারপরে রুকুতে যাই। এখন মুসল্লীগণ আল্লাহু আকবার শোনার পর অনেকেই ইমামের আগে রুকুতে চলে যায়। এখন জানার বিষয় হল, এভাবে নামাজ হবে কি হবে না ? জানালে খুব উপকৃত হতাম।
নিবেদক
মুহা. সাখাওয়াত হোসাইন
بسم الله الرحمن الرحيم،حامدا ومصليا ومسلما
সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সকলের নামাজ আদায় হয়ে যাবে তবে সুন্নত মোতাবেক নামাজ আদায় না হওয়ার কারণে নামাজের সওয়াবের ঘাটতি হবে। এ ঘাটতির জন্য ইমাম সাহেবও দায়ী হবে। কেননা ইমাম সাহেবের জন্য করণীয় হলো, আল্লাহু আকবার বলতে বলতে রুকুতে যাওয়া। আল্লাহু আকবার বলাও শেষ হবে রুকুতে যাওয়াও শেষ হবে। ইমামের রুকুকে অনুসরণ করে মুসল্লিরাও রুকুতে যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে,হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইমাম বানানো হয়েছে যাতে তোমরা তার অনুগত্য কর এবং তার বিরোধিতা না কর। সুতরাং ইমাম যখন রুকুতে যাবে তোমরাও তখন রুকুতে যাও। (সহিহ বোখারী ১/১০০)
তাই প্রশ্নোক্ত বিষয়টি ইমাম সাহেবকে আদব ও সম্মানের সাথে জানিয়ে সঠিক নিয়মে ইমামতি করার সুপরামর্শ দেওয়া উচিত।
الإحالة الشرعية على المطلوب
أخرج إمام البخاري في “صحيحه”(١/١٠٠) عن ابي هريرة رضي الله تعالى عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إنما جعل الإمام ليتم به فلا تختلفوا عليه فإذا ركع فإرقعوا
و”في الشامى “(٢/٤٢٥) يكره رفع الرأس و وضعه قبل الإمام
وفي “البدائع الصنايع” (٢/٨٦)ويكره ان يرفع رأسه من الركوع والسجود قبل الإمام
وفي “الهندية”(١/١٦٦) ويكره للمأموم ان يسبق الإمام في الركوع والسجود
وفي “البزازية”(١٠/٤٠) رفع رأسه من الركوع أو السجود قبل الإمام. عاد لنزول المختلفة بالموافقة
و فی”مسائل نماز”(١٧٦) مسئلہ: مفتی کو اپنے امام سے پہلے کسی فعل کا کرنا مکروہ تحریمی ہے
وفی “قاسمیہ” (٩/٣٤٠) الجواب: اقتدا کا مطلب امام کا اتباع کرنا ہوتا ہے. بری بنا امام کی تکبیر مکمل ہونے سے پہلے مقتدیوں کا انتقال رکن کر جانا مکروہ ہے..انتهى، والله أعلم بالصواب